তৃণমূলের দলীয় সভায় যোগ দিতে আসা কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগে সিপিএমের দক্ষিণ দামোদর জোনাল কমিটির সদস্য-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
শনিবার বিকালে রায়না ২ ব্লকের কল্যাণপুর পঞ্চায়েতের রূপসারা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। রবিবার ধৃতদের বর্ধমান জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৫ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
তৃণমূলের অভিযোগ, ওই দিন স্থানীয় বিনোদপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রায়না ২ ব্লকের দলীয় কর্মিসভা ছিল। অভিযোগ, সভায় যোগ দিতে আসার সময় সিপিএমের লোকজনেরা তৃণমূল কর্মীদের গাড়ি আটকায়। পরে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাতে দলের বেশ কয়েকজন জখম হন। তাঁদের প্রথমে স্থানীয় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, তারপর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলেও তৃণমূলের দাবি।
তৃণমূলের নেতা শৈলেন্দ্রনাথ সাঁইয়ের অভিযোগ, “রায়না বিধানসভা এলাকায় সিপিএম মানুষের কাছ থেকে যত সরে যাচ্ছে, ততই সন্ত্রাসের নখ-দাঁত বের করছে।” ওই দিন সন্ধ্যাতেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল।
সিপিএমও পাল্টা অভিযোগ এনেছে তৃণমূল ও পুলিশের বিরুদ্ধে। সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূল থানায় যে অভিযোগে দলের নেতা ও কর্মীদের ফাঁসিয়েছে, আদৌ এই ধরণের কোনও ঘটনা ঘটেনি। সিপিএমের দাবি, শনিবার বিকালে রূপসারা গ্রামে শান্তি মিছিল করবে বলে বহিরাগত লোকজন জড়ো করে। শান্তি মিছিলের নামে ওই বহিরাগতেরা গ্রাম দখল করতে যায় বলেও তাঁদের অভিযোগ। তখন তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমায় এক গ্রামবাসী আহত হলে পাল্টা প্রতিরোধ হয়।
রায়নার সিপিএম বিধায়ক বাসুদেব খাঁর অভিযোগ, “পুলিশের সামনেই তৃণমূলের লোকজন গ্রামে ঢুকে সন্ত্রাস করল। আবার সেই পুলিশই তৎপর হয়ে আমাদের জোনাল কমিটির এক নেতা-সহ পাঁচ জনকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করে নিয়ে গেল!” সিপিএম নেতাদের আরও অভিযোগ, মাধবডিহি থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও পুলিশ তা এফআইএর হিসাবে গণ্য করছে না। মাধবডিহি থানা অবশ্য এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy