Advertisement
০৮ জানুয়ারি ২০২৫

লড়াইয়ের অতীতই ভোটে ভরসা নেতার

দলের ব়়ড় নেতারা প্রার্থী হননি। তাঁদের আগের বোর্ডের পুরপ্রধানও সরে দাঁড়িয়েছেন লড়াই থেকে। রানিগঞ্জে সদ্য প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান সুনীল খান্ডেলওয়াল অবশ্য ভোটের ময়দান ছেড়ে যাননি। এলাকায় সিপিএমের অন্যতম মুখ হিসেবে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন তিনি। তবে যুদ্ধটা যে সহজ হবে না, বুঝছেন সুনীলবাবু। কারণ, রানিগঞ্জ এলাকায় এ বার আসানসোল কর্পোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল নেতা কাঞ্চন তিওয়ারি।

নীলোৎপল রায়চৌধুরী
শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৫ ০০:৫৬
Share: Save:

দলের ব়়ড় নেতারা প্রার্থী হননি। তাঁদের আগের বোর্ডের পুরপ্রধানও সরে দাঁড়িয়েছেন লড়াই থেকে। রানিগঞ্জে সদ্য প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান সুনীল খান্ডেলওয়াল অবশ্য ভোটের ময়দান ছেড়ে যাননি। এলাকায় সিপিএমের অন্যতম মুখ হিসেবে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন তিনি। তবে যুদ্ধটা যে সহজ হবে না, বুঝছেন সুনীলবাবু। কারণ, রানিগঞ্জ এলাকায় এ বার আসানসোল কর্পোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল নেতা কাঞ্চন তিওয়ারি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাম আমলে স্কুলভোট থেকে বিধানসভা ভোট— নানা সময়ে এলাকায় বিরোধীদের প্রতিবাদ-আন্দোলনে অন্যতম প্রধান মুখ ছিলেন কাঞ্চনবাবু। তা করতে গিয়ে তিনি ও তাঁর পুরনো সঙ্গী দিব্যন্দু ভকত (যিনি ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী) অনেক বার হেনস্থার মুখে পড়েছেন বলেও অভিযোগ। কাঞ্চনবাবু টিডিবি কলেজে পড়ার সময়ে ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৮ সালে দলের জন্মলগ্ন থেকেই তিনি তৃণমূলে রয়েছেন। দু’বার দলের ব্লক সভাপতিও হন। ২০১০ সালে পুরভোটে রানিগঞ্জ পুরসভার (এখন বিলুপ্ত) ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়ে ৬২ ভোটে হেরে যান।

এ বার প্রার্থী হয়ে কাঞ্চনবাবু বলছেন, ‘‘ব্যক্তিগত কুৎসা ছেড়ে বাম আমলে পরিষেবার বেহাল চিত্র তুলে ধরে ভোট চাইছি। ওরা একের পর এক প্রকল্প কী ভাবে হাতে নিয়েও মাঝপথে বন্ধ করে দিয়েছে, তাতে সরকারি অর্থ কী ভাবে নয়ছয় হয়েছে, সে সব তথ্য তুলে ধরছি।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, “সিপিএম এবং বিজেপি যে পরস্পরকে ধরে বাঁচতে চাইছে, তা ভোটারদের কাছে জলের মত পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। বড় ব্যবধানে আমরাই জিতছি।” সিপিএম প্রার্থী সুনীল খান্ডেলওয়াল রানিগঞ্জে মাধ্যমিক পাশ করার পরে নাগপুরে চলে যান। সেখানে স্নাতক হয়ে পারিবারিক মশলা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। দীর্ঘদিনের সিপিএম সমর্থক হলেও সরাসরি দলের সঙ্গে যুক্ত হন ২০১০ সালে পুরভোটে প্রার্থী হওয়ার পরেই। জিতেই উপ-পুরপ্রধান হন। এ বার তিনি বলছেন, ‘‘কর্মিসভা থেকে শুরু করে মানুষের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে প্রচার করছি। স্বতস্ফূর্ততা দেখে মনে হচ্ছে, আমাদের উন্নয়নমূলক কাজে প্রভাবিত হয়ে মানুষ সঙ্গেই আছেন। তবে ভোটে আগাম কিছু বলা সম্ভব নয়।”

এই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী অনুপ দত্ত আবার বলেন, “সিপিএম এবং তৃণমূল, দুই দল নিয়েই মানুষের মোহভঙ্গ হয়েছে। জিতছি আমরাই।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy