Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

মাটি উৎসবের দরপত্র ডাকা নিয়ে অনিয়মের নালিশ

মাটি উৎসবে খাবার সরবরাহের দরপত্র নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে। তৃণমূল পরিচালিত এই সমিতির সদস্য অজয় মজুমদার দুর্গাপুরের মহকুমাশাসকের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে নিজেদের পছন্দ মতো ব্যক্তিকে দরপত্রের ফর্ম দেওয়া হয়েছে। মহকুমাশাসক কস্তুরী সেনগুপ্ত অবশ্য জানান, নিয়ম মেনেই কাজ হয়েছে বলে তিনি ব্লক অফিস থেকে জেনেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁকসা শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:৩৭
Share: Save:

মাটি উৎসবে খাবার সরবরাহের দরপত্র নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে। তৃণমূল পরিচালিত এই সমিতির সদস্য অজয় মজুমদার দুর্গাপুরের মহকুমাশাসকের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে নিজেদের পছন্দ মতো ব্যক্তিকে দরপত্রের ফর্ম দেওয়া হয়েছে। মহকুমাশাসক কস্তুরী সেনগুপ্ত অবশ্য জানান, নিয়ম মেনেই কাজ হয়েছে বলে তিনি ব্লক অফিস থেকে জেনেছেন।

কাঁকসার বিরুডিহায় ২৮ জানুয়ারি থেকে মাটি উৎসব শুরু হবে। সেখানে খাবার সরবরাহের জন্য সম্প্রতি দরপত্র ডাকা হয়েছিল। অজয়বাবু অভিযোগ করেন, পঞ্চায়েত সমিতির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দরপত্রের ফর্ম পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন অনেকে। কিন্তু কাগজপত্র ঠিক থাকা সত্ত্বেও সব আবেদনকারীকে ফর্ম দেওয়া হয়নি দাবি করে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন অজয়বাবু। তাঁর দাবি, টাকার বিনিময়ে বেছে বেছে পছন্দের লোকেদের ফর্ম দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “এর ফলে অনেক যোগ্য ব্যক্তিই দরপত্রের প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে পারেননি।” যদিও পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি চিন্ময় মণ্ডল পাল্টা দাবি করেন, “এই সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। নিয়ম মেনেই দরপত্র প্রক্রিয়া হয়েছে।”

গত বছর মাটি উৎসবে খাবার সরবরাহকারী পানাগড়ের হোটেল মালিক গৌতম ধীবরও সম্প্রতি কাঁকসার বিডিও-র কাছে অভিযোগ করেন, এ বার তাঁকে দরপত্রের ফর্ম দেওয়া হয়নি। গত বার তাঁর কাজে যে কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট নন সে কথাও তাঁকে জানানো হয়নি। তিনি বলেন, “আবেদন করার পরেও আমাকে ফর্ম দেওয়া হয়নি। কেন এমন করা হল তা বিডিও-র কাছে জানতে চেয়েছি।” মহকুমাশাসক কস্তুরী সেনগুপ্ত অবশ্য বলেন, “ব্লক অফিস থেকে পাওয়া রিপোর্টে জেনেছি, গত বার খাবারের মান ঠিক ছিল না। সে কারণে সেই সরবরাহকারীকে এ বার সুযোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় টেন্ডার কমিটি।”

ব্লক অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রথম বার নির্দিষ্ট সংখ্যক আবেদনকারী দরপত্রের ফর্ম জমা না দেওয়ায় তা বাতিল করা হয়। এর পরে আবার নতুন করে দরপত্র ডাকা হয়। তখন ওই হোটেল মালিক কোনও আবেদন করেননি। তাই তাঁকে ফর্ম দেওয়া হয়নি। দরপত্র চূড়ান্ত করার জন্য ছয় সদস্যের একটি কমিটি রয়েছে। সেই কমিটিতে রয়েছেন বিডিও, যুগ্ম বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতি, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও সহকারী ইঞ্জিনিয়ার। সেই কমিটিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মহকুমাশাসক জানান, ব্লক অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিয়ম মেনেই দরপত্রের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

mati utsav tender kaksa panchayat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE