Advertisement
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

পণের দাবিতে বধূ খুনের অভিযোগ

অতিরিক্ত পণের দাবিতে বধূ খুনের অভিযোগে তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম শম্ভূনাথ পাল। সোমবার দুপুরে বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাকে। পুলিশ জানিয়েছে, শম্ভুনাথবাবু ছাড়াও মৃত ঝুমা পালের (২৫) শাশুড়ি যমুনা পাল, জেঠতুতো দাদা মিঠু পাল ও তাঁর মেয়ে তন্ময়ী পাল-সহ ৬ জনের নামে কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাটোয়া শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৪ ০০:২৬
Share: Save:

অতিরিক্ত পণের দাবিতে বধূ খুনের অভিযোগে তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম শম্ভূনাথ পাল। সোমবার দুপুরে বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাকে। পুলিশ জানিয়েছে, শম্ভুনাথবাবু ছাড়াও মৃত ঝুমা পালের (২৫) শাশুড়ি যমুনা পাল, জেঠতুতো দাদা মিঠু পাল ও তাঁর মেয়ে তন্ময়ী পাল-সহ ৬ জনের নামে কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে চাণ্ডুলী গ্রামে ওই বধূর শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। ওই দম্পতির তিন বছরের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। বছর পাঁচেক আগে আউশগ্রামের দিগনগর গ্রামের বাসিন্দা ঝুমাদেবীর সঙ্গে কাটোয়ার চান্ডুলী গ্রামের শম্ভুনাথ পালের বিয়ে হয়। মৃতার ভাই সম্পদ পালের অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই অতিরিক্ত পণের দাবিতে দিদির উপর অত্যাচার করতে শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ঝুমাদেবী গর্ভবতী হয়ে পড়লেও অত্যাচার কমেনি। লিখিত অভিযোগে সম্পদবাবু জানিয়েছেন, তাঁরা দিদিকে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে চলে এসেছিলেন। কয়েকমাস পর দিদির উপর অত্যাচার না করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শম্ভুনাথবাবু তাঁর দিদিকে নিয়ে যায়। মাস দেড়েক আগে শম্ভুনাথকে এক আত্মীয়ার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলার পরে অত্যাচার আরও বাড়ে। ঝুমাদেবী ও তার ছেলেকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলেও তাঁর অভিযোগ।

শনিবার দুপুরে দিগনগর গ্রাম থেকে ঝুমাদেবীকে আবার তাঁর শ্বশুরবাড়ি চান্ডুলী গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার সকাল সওয়া সাতটা নাগাদ ঝুমাদেবী তার বাপের বাড়িতে ফোন করে অভিযোগ করেন যে, তাঁর উপর ফের অত্যাচার করা হচ্ছে। এরপরে সকাল পৌনে ন’টা নাগাদ চান্ডুলী গ্রাম থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যাক্তি দিগনগর গ্রামে ফোন করে জানায়, ঝুমাদেবী গলায় দড়ি দিয়ে মারা গিয়েছেন।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই বধূ আত্মঘাতী হয়েছেন। কারণ ওই বধূর গায়ে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট না এলে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। মৃতার পরিবারের অবশ্য দাবি, তদন্তে পুলিশ সঠিক সহযোগিতা করছে না। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে কাটোয়া থানার এক কর্তা বলেন, মৃতার পরিবার নিজেরাই আসতে চাইছিল না। আমরাই নানা ভাবে বুঝিয়ে তাদের নিয়ে আসি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।

অন্য বিষয়গুলি:

sambhunath pal jhuma pal katwa
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy