ম্যাচ জেতার পরে শিবাজি সঙ্ঘের অধিনায়কের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে প্রথমে বচসা, পরে সংঘর্ষ বাধল বর্ধমানের রাধারানি স্টেডিয়ামে। আরেক ক্লাব মিলনীর কর্মকর্তা ও সদস্য-সমর্থকরা শিবাজির সাজঘরে গিয়ে তাদের ক্রিকেটারদের মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। শেষে পুলিশ গিয়ে খেলা শেষের এক ঘণ্টা পরে ক্রিকেটারদের উদ্ধার করে। ঘটনায় প্রহৃত হয়েছেন দুই ক্রীড়াসংগঠক তথা প্রশিক্ষক অশেষবন্ধু মুখোপাধ্যায় ও সৌরেন চক্রবর্তী। প্রহৃত হন শিবাজির কর্মকর্তা সুমিত মিত্র ও অধিনায়ক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
মিলনীর কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরীর অভিযোগ, “ম্যাচ জেতার পরে শিবাজির অধিনায়ক ক্লাব ও ক্লাব কর্মকর্তাদের সম্পর্কে অত্যন্ত কুরুচিকর মন্তব্য করেন। তার জেরেই আমাদের সমর্থকেরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন।” তবে শিবাজির অধিনায়ক অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছন। তাঁ দাবি, “ওরা আজ গোলমাল পাকানোর তালে ছিল। বেশ কিছু দুষ্কৃতীকে মদ্যপ অবস্থায় মাঠে নিয়ে এসেছিল। তারাই আমাদের উপরে খুর নিয়ে হামলা চালায়। আমি কোনও কুরুচিকর মন্তব্য করিনি। বরং চিৎকার করে বলেছি, ২৪ বছর ধরে শিবাজিই এই ডার্বি ম্যাচে জিতে আসছে।”
মাঠে উপস্থিত সিওএবির দুই আম্পায়ার প্রেমদীপ চট্টপাধ্যায় ও অতনু সরকার বলেন, “শিবাজীর অধিনায়কের মন্তব্য আমরা শুনেছি। এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা উচিত হয়নি মিলনীর। ঘটনাটি সম্পর্কে জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে রিপোর্ট করব।”
জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক গৌরী শঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, “ক্লাব কর্তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মাঠে পুলিশ থাকার দরকার নেই। তাই পুলিশ মোতায়েন করা হয়নি। কিন্তু শেষে পুলিশ ডাকতে বাধ্য হলাম। মিলনীর আচরণ অত্যন্ত গর্হিত। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ দিনের খেলায় মিলনী প্রথমে ব্যাট করে ৩৮ ওভারে করে ১৮৫-৯ করে। দলের দেবপ্রিয় ঘোষ করেন ৭৩। সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ৩৩। পরে শিবাজি করে ৩৭ ওভারে ১৮৯-৮ করে। শিবাজির হয়ে বোলিংয়ে সফল অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় (৩৩-৩)। তাদের আজাজ আনসারি ৫৬ রান করেন। মিলনীর সুলতান আহমেদ ৫১ রানে ৪ ও শিবশঙ্কর পাল ৩৩ রানে ৩ উইকেট দখল করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy