Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪

টুকরো খবর

রায়না গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই সিপিএম এবং এক কংগ্রেস সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় পঞ্চায়েতটি দখল করল তৃণমূল। দলের স্থানীয় নেতা বামদেব মণ্ডলের দাবি, মঙ্গলবার স্থানীয় রাইনগরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তৃণমূলের দুই ও কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত সদস্যকে দলে যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সিপিএমের বর্ধমান জেলা সম্পাদক অমল হালদার বলেছেন, “আমাদের নামে এক পঞ্চায়েত সদস্যকে ওরা ওদের মিছিলে হাঁটিয়েছে বলে খবর পেয়েছি। ওই গ্রামে আমাদের সমর্থকদের উপর নানা আক্রমণ ও হুমকি দেওয়া চলছে।

শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৪ ০২:১০
Share: Save:

পঞ্চায়েত গেল তৃণমূলের হাতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান

রায়না গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই সিপিএম এবং এক কংগ্রেস সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় পঞ্চায়েতটি দখল করল তৃণমূল। দলের স্থানীয় নেতা বামদেব মণ্ডলের দাবি, মঙ্গলবার স্থানীয় রাইনগরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তৃণমূলের দুই ও কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত সদস্যকে দলে যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সিপিএমের বর্ধমান জেলা সম্পাদক অমল হালদার বলেছেন, “আমাদের নামে এক পঞ্চায়েত সদস্যকে ওরা ওদের মিছিলে হাঁটিয়েছে বলে খবর পেয়েছি। ওই গ্রামে আমাদের সমর্থকদের উপর নানা আক্রমণ ও হুমকি দেওয়া চলছে। গত কালই জামিনে ছাড়া পেয়ে ওই সদস্য গ্রামে ফেরেন। তাঁকে হুমকি দিয়ে মিছিলে হাঁটানো হয়েছে। এ দিনই আমাদের সমর্থকদের উপরে আক্রমণ নেমেছে আউশগ্রামে কোটায়। চারিদিকে আক্রমণ চলছে।” তৃণমূলের জেলা নেতা উত্তম সেনগুপ্ত অবশ্য বলেন, “ওই তিন জন পঞ্চায়েত সদস্য স্বেচ্ছায় আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন।” এই গ্রাম পঞ্চায়েতে সাত জন সিপিএমের এবং এক জন কংগ্রেস সদস্য ছিলেন। তৃণমূলের দখলে ছিল পাঁচটি আসন। সংখ্যগরিষ্ঠতার জোরে সিপিএম বোর্ড তৈরি করেছিল।

দুর্ঘটনার জেরে অবরোধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল


দুর্ঘটনার পরে। আসানসোলে তোলা নিজস্ব চিত্র।

দু’টি পৃথক পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্তি হল আসানসোলে। রাস্তা অবরোধ ও ভাঙচুর হল মঙ্গলবার। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ দিন সকাল ৭টা নাগাদ আসানসোলের লোকো মাঠের কাছে জিটি রোডে এক প্রৌঢ়াকে ধাক্কা মারে একটি মিনিবাস। পুলিশ তাঁকে আহত অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়। এই ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রায় আধ ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করেন। তাঁরা এলাকায় উন্নত ট্রাফিক ব্যবস্থার দাবি জানান। পুলিশ গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। এ দিন দুপুরে দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে আসানসোলের দু’নম্বর জাতীয় সড়কে শীতলা মোড়ের কাছে। এক সাইকেল আরোহীকে চাপা দেয় একটি ছোট লরি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম রঞ্জিত রুইদাস (৩৮)। তিনি শীতলা গ্রামের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ। দুর্ঘটনার ঠিক পরেই এলাকার বাসিন্দারা তাড়া করে লরিটিকে ধরে ফেলেন। চালক ও খালাসিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জনতা লরিটিতে ভাঙচুর চালায়। মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে প্রায় এক ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বাসিন্দারা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

আটকে রাখা দুই মহিলাকে উদ্ধার পুলিশের
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান

আউশগ্রামের লোহারকুন্ডা গ্রামে ডাইনি সন্দেহে দুই আদিবাসী মহিলাকে আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে গিয়ে বর্ধমান উত্তরের মহকুমাশাসক স্বপন কুন্ডু তাঁদের উদ্ধার করে এনেছেন। ঘটনাটি মঙ্গলবার দুপুরের। মুংলি মুর্মু নামে এক মহিলার ছেলে দুখি মুর্মু জানান, এ দিন সকালে তাঁদের আত্মীয়-স্বজনেরাই ওই দু’জনকে গ্রামে নিজেদেরই বাড়িতে আটকে রাখে। দু মাস আগে তাঁর জ্যাঠা তারক মুর্মু আত্মঘাতী হন। এই ঘটনার পরে আত্মহত্যার কারণ জানতে আত্মীয়েরা গুণিনের কাছে যান। গুণিন জানান, ওই দুই মহিলা ডাইনি। তাই তাদের সব সময় আটকে রাখতে হবে। সোমবার গুণিনের একটি দল গ্রামে আসে। তারা ফের ওই দু’জনকে ডাইনি বলে চিহ্নিত করে। এর পরেই দুই মহিলাকে ঘরবন্দি করা হয় বলে অভিযোগ। মহকুমাশাসক বলেন, “ওই দুই মহিলাকে আপাতত বর্ধমানের বড়শূলের একটি হোমে রাখা হবে। তাঁদের এ দিন সন্ধ্যায় সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।” আউশগ্রাম থানা সূত্রে বলা হয়েছে, ওই দুই মহিলাকে আটকে রাখার ঘটনায় মোট চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যুবকের অপমৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা • পূর্বস্থলী

এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে পূর্বস্থলীর ধোবা গ্রামে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার গভীর রাতে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের নাম শঙ্কর হালদার (২০)। ধোবা গ্রামে নিজের বাড়ি থেকেই সোমবার রাত ১২টা নাগাদ তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন উদ্ধার করেন তাঁর পরিবারের লোকজন। গুরুতর আহত অবস্থায় কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় শঙ্করের। মৃত যুবকের কাকা প্রফুল্ল হালদারের অভিযোগ, গত ২৫ মার্চ কেতুগ্রামের নৈহাটি গ্রামে বিয়ে হয়েছিল শঙ্করের। কিন্তু কিছু দিন পরেই মেয়ের বাড়ির লোক মেয়েকে নিয়ে চলে যায়। তারপর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল শঙ্কর। পুলিশ তদন্ত করেছে।

স্বামীকে খুনে দোষী সাব্যস্ত
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল

স্বামীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগে এক মহিলাকে মঙ্গলবার দোষী সাব্যস্ত করলেন আসানসোলের সিবিআই আদালতের বিচারক অজয়কুমার দাস। আজ, বুধবার সাজা ঘোষণা হবে। মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী তাপস উকিল জানান, ২০১০ সালের ১৬ নভেম্বর রাতে সালানপুর থানার ঘিয়াডোবা এলাকার কোলপাড়ার বাসিন্দা মঙ্গল কোল ও তাঁর স্ত্রী শ্রীমতি কোলের মধ্যে বচসা বাধলে শ্রীমতীদেবী ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বামীকে কোপাতে শুরু করেন। মৃত্যু হয় মঙ্গলবাবুর। নিহতের বাবা বাবুলাল কোলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শ্রীমতীদেবীকে গ্রেফতার করে। প্রায় চার বছর ধরে শুনানি চলে।

বাড়িতে হামলা
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর

সিপিএম নেতার বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল কাঁকসায়। সোমবার রাতে সিপিএমের কাঁকসা ১ লোকাল সম্পাদক আবদুর রহিমের বাড়িতে এক দল লোক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। দরজা-জানালা ভাঙচুর ও তাঁর ভাইয়ের দোকানের জিনিসপত্র নষ্ট করা হয় বলে জানান তিনি। সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনায় জড়িত। তৃণমূল যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

হুমকিতে ধৃত

নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর

গলসির বিধায়ক গৌর মণ্ডলকে মোবাইলে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম চন্দন মেটে। সোমবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ বিধানসভা চলাকালীন মোবাইলে গৌরবাবুকে গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি তিনি টেলিফোনে কাঁকসা থানায় জানিয়েছিলেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy