ডিপিএল-এর গেটের সামনে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যের বিদ্যুৎ সচিব সুরেশ কুমারের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখালেন ‘ডিমড ডেপুটেশনে’ থাকা দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেড (ডিপিএল)-এর কর্মীদের একাংশ। বৃহস্পতিবারের ঘটনা। তাঁরা ডিপিএলের গেটের সামনেও বিক্ষোভ দেখান।
রুগ্ণ ডিপিএল-কে বাঁচাতে ২০১৭-য় রাজ্য সরকার অন্য বিদ্যুৎ সংস্থার সঙ্গে এটিকে মিশিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৯-এর ১ জানুয়ারি থেকে সেই প্রক্রিয়া কার্যকর করা শুরু হয়। ওই বছর মার্চে প্রায় ৪৪০ জন স্থায়ী ও প্রায় দেড়শো ঠিকাকর্মীকে ডিপিএল-এর বিভিন্ন দফতর থেকে সরিয়ে অন্য বিদ্যুৎ সংস্থার আওতায় ‘ডিমড ডেপুটেশনে’ পাঠানো হয়।
তবে বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছেন, নতুন সংস্থায় কাজ শুরুর সময় বলা হয়েছিল, এখন ডেপুটেশনে থাকলেও, পরে তাঁদের নতুন সংস্থার স্থায়ী কর্মী হিসেবে পাকাপাকি ভাবে নিযুক্ত করা হবে। কিন্তু তা করা হয়নি। ১২ নভেম্বর ডিপিএল পুনর্গঠন সংক্রান্ত বিদ্যুৎ দফতরের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ডিপিএল ও অন্য বিদ্যুৎ সংস্থার চাকরির শর্ত ভিন্ন। চাকরির মাঝপথে এসে ওই কর্মীদের নতুন সংস্থায় অন্তর্ভুক্ত করায় সমস্যা রয়েছে। তাই তাঁদের আর নতুন সংস্থায় নিযুক্ত করা হবে না। প্রয়োজনে ডেপুটেশনে থাকা ডিপিএলের ওই কর্মীদের দুর্গাপুর থেকে একশো কিলোমিটারের মধ্যে অন্য কোথাও বদলিও করাযেতে পারে।
এর পরেই ওই কর্মীরা অরাজনৈতিক ফোরাম গড়ে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার ফোরামের পক্ষ থেকে অবিলম্বে ডেপুটেশন তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয় ডিপিএলের গেটের সামনে। তাঁদের আরও দাবি, ডেপুটেশন না তুলে কোনও ভাবেই বদলি করা যাবে না। এ দিন বিদ্যুৎ দফতরের সচিব সুরেশ কুমার ডিপিএলের প্রশাসনিক ভবনে আসেন একটি বৈঠকে যোগ দিতে। বিক্ষোভে তাঁর গাড়ি আটকে পড়ে। ডিপিএলের নিরাপত্তা রক্ষীরা দ্রুত তাঁদের সরিয়ে দেন।
তবে আন্দোলনকারীরা ভিতরে ঢুকে প্রশাসনিক ভবনের গেটের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ আসে। দাবি বিবেচনার আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে বলে জানিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। শেষ পর্যন্ত ফোরামের প্রতিনিধিরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। আন্দোলনকারীরা জানান, বিদ্যুৎ সচিবকে পুরো বিষয়টি লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি সংস্থার কর্তৃপক্ষের তরফে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy