বৃহস্পতিবার এমনই ছিল দুর্গাপুর স্টেশন বাজারের অবস্থা। নিজস্ব চিত্র
আজ, শুক্রবার ও আগামিকাল, শনিবার টানা দু’দিন রাজ্যে ‘লকডাউন’ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৩ তারিখ ‘নিট’ পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে ১২ সেপ্টেম্বর লকডাউন প্রত্যাহার করার কথা টুইটে জানিয়েছেন। তবে, শুক্রবারের লকডাউন সফল করতে বৃহস্পতিবার থেকেই জোর তৎপরতা দেখা গিয়েছে জেলায়।
মুখ্যমন্ত্রীর টুইটের আগে পর্যন্ত, রাজ্য প্রশাসনের ঘোষণা অনুযায়ী, দু’দিনের লকডাউন হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো আসানসোল, দুর্গাপুর-সহ জেলার নানা প্রান্তের বাজারে ভিড় দেখা যায় বৃহস্পতিবার। বেশির ভাগ জায়গাতেই স্বাস্থ্য-বিধি লঙ্ঘিত হওয়ার ঘটনাও সামনে আসে। তবে ক্রেতাদের অনেককেই বলতে শোনা যায়, ‘‘খাবার মজুত রাখতে হবে দু’দিনের জন্য। তাই বাজারে এসেছি।’’
এ দিন সকাল থেকেই পুলিশ-প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গিয়েছে। আসানসোলের নানা এলাকায় ‘লকডাউন’ সফল করার আহ্বান জানিয়ে মাইকে প্রচার করে পুলিশ। পাড়ায়-পাড়ায় পুলিশের প্রচার গাড়ি ঘুরেছে। সকালে মহকুমা প্রশাসন (দুর্গাপুর) ও পুলিশ বেনাচিতি বাজারে যৌথ অভিযান চালায়।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (পূর্ব) স্বপন দত্ত জানান, ‘মাস্ক’ না পরা ও সামাজিক দূরত্ব না মানার অভিযোগ উঠছে বিভিন্ন জায়গায়। সে জন্য এ দিন অভিযান চালানো হয়। কয়েকজনকে আটক করা হয়। পরে সতর্ক করে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
তবে লকডাউনের ফলে ব্যবসায় কী প্রভাব পড়ছে, সে প্রশ্ন রয়েছে ব্যবসায়ী মহলে। যদিও ‘ফেডারেশন অব সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ়’-এর সহ-সম্পাদক শচীন ভালোটিয়া বলেন, ‘‘এই সব লকডাউনই পূর্ব ঘোষণা মতো হচ্ছে। তাই ক্রেতারা সময় থাকতে নিজেদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনছেন। ফলে, লোকসানের মাত্রা কিছুটা কমছে।’’ তবে তিনি এ-ও জানান, পুজোর বাজার সামান্য হলেও শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় লকডাউন বাজারে প্রভাব ফেলবে কি না, তা দেখতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy