শিল্পতালুকের জন্য বিপুল লগ্নি। প্রতীকী চিত্র।
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে পশ্চিম বর্ধমানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রের উন্নয়নের (এমএসএমই) জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল, ছোট-ছোট এলাকা ধরে শিল্পতালুক তৈরি। শিল্পদ্যোগীদের এনে নতুন পুঁজি আনার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এর ফলে, প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হতে পারে জেলায়। এর ফলে, প্রত্যক্ষ ভাবেই অন্তত চার হাজার জনের কর্মসংস্থান হতে পরে। এমনটাই দাবি করেছে রাজ্যের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতর এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েও অবশ্য বণিকসভাগুলি প্রশাসনিক হয়রানি কমানো এবং মসৃণ ভাবে ঋণ যাতে পাওয়া যায়, সে ব্যবস্থা করার আর্জি জানাচ্ছে।
কিছু দিন আগে আসানসোলে রাজ্যের ওই দফতর একটি শিল্প-সম্মেলন আয়োজিত হয়। সেখানে যোগ দেন সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। তিনি এই জেলায় এমএসএমই শিল্পের বিষয়ে সম্ভাবনাময় সব দিক খতিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট তৈরির পরামর্শ দেন।
এর পরেই জেলা প্রশাসন সে মতো পদক্ষেপ করে। জেলা প্রশাসনের তরফে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, জেলায় ছোট-ছোট এলাকা ধরে পাঁচটি শিল্পতালুক তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আসানসোলের ডামরায় প্রায় ৩০ একর, কাঁকসায় প্রায় ৮৩ একর, কুলটিতে প্রায় ৩৭ একর ও রানিগঞ্জের দু’টি এলাকা মিলিয়ে প্রায় ৫৫ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। সূত্রের দাবি, সেখানে ১৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। যদিও, জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ বলেন, “এগুলি সবই প্রস্তাবিত। প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জেলায় এই মুহূর্তে ১০টি শিল্পতালুক সফল ভাবে চলছে।”
জেলা প্রশাসন সূত্রে দাবি, পুঁজি আনার চেষ্টাও চলছে। ইস্পাত, কৃষিজাত পণ্য, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং বস্ত্র, এই ক্ষেত্রগুলিতে শিল্প আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সে জন্য কিছু পরিকাঠামোগত উন্নয়নেরকাজও চলছে।
পুরো বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম বণিকসভা ‘ফেডারেশন অব সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ডইন্ডাস্ট্রিজ়’। তবে সেই সংগঠনটির কার্যকরী সভাপতি রাজেন্দ্রপ্রসাদ খেতান বলেন, “শিল্প গড়ার আগে অনুমতি সংগ্রহের প্রশ্নে প্রশাসনিক হয়রানি কমাতে হবে। ব্যাঙ্ক ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের সরাসরি আরও সহযোগিতা দরকার। তা হলেই, শিল্প স্থাপনের উৎসাহ পাবেন শিল্পোদ্যোগীরা।” ওই সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ রায়ের কথায়, “খুবই ভাল উদ্যোগ। তবে যে শিল্পতালুকগুলি রয়েছে, সেগুলির পরিকাঠামোগত আরওউন্নতি দরকার।”
বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের আশ্বাস, চলতি অর্থবর্ষে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় শিল্পোন্নয়ন ও নতুন করে শিল্প স্থাপনের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি থেকে প্রায় ২,৮২১ কোটি টাকা ঋণ মিলেছে। ভবিষ্যতেও ব্যাঙ্কগুলি যাতে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে নমনীয় হয়, সে বিষয়ে সরকাররে তরফে আর্জি জানানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy