প্রতীকী ছবি।
ভোট ঘোষণার পরে সপ্তাহ দু’য়েক পার। তৃণমূল আগেই প্রার্থী ঘোষণা করে প্রচারে নেমে পড়েছে। বুধবার বিকেলে বামফ্রন্টও তালিকা প্রকাশের পরে বৃহস্পতিবার থেকে তাদের প্রার্থীরা প্রচারে নেমেছেন। কিন্তু এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিজেপি। ফলে, প্রচারের মাঠে তাঁরা পিছিয়ে পড়ছেন বলে মনে করছেন দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ। এরই মধ্যে বর্ধমান শহরের বেশ কয়েকজন বিজেপির নেতানেত্রীর ছবি-সহ নানা মন্তব্যে ভরা পোস্টার দিয়ে তাঁদের প্রার্থী করার বিষয়ে আপত্তি তোলা হয়েছে।
২০১৬ সালে পূর্ব বর্ধমানে ১৬টি বিধানসভা আসনের ১৪টি জিতেছিল তৃণমূল। পূর্বস্থলী উত্তর ও জামালপুর যায় বামেদের দখলে। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে জেলার ১৪টি কেন্দ্রে এগিয়ে থাকে তৃণমূল। গলসি ও কাটোয়া বিধানসভা এলাকায় এগিয়ে ছিল বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে এ বার দলের নেতা-কর্মীরা ভোটের লড়াইয়ে নামতে উৎসাহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন বলে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি। দল কবে প্রার্থী ঘোষণা করে, সে নিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন জানিয়ে লোকসভা ভোটে বর্ধমান পূর্বের বিজেপি প্রার্থী, মঙ্গলকোটের কৈচরের বাসিন্দা পরেশ দাস সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘প্রতিটা দিন কম হয়ে যাচ্ছে এই আর কি।’ তাঁকে সমর্থন জানিয়ে বর্ধমানের পার্থসারথি ঘোষ, কিঙ্কর মণ্ডলেরা দাবি করেন, প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়ে গেলে প্রচার গতি পেত।
বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের একাংশের দাবি, অন্য দল দেওয়াল ‘দখল’ করে নিচ্ছে। জামালপুরের বিশ্বজিৎ রায়, মন্তেশ্বরের চন্দ্রকান্ত চৌধুরী, ভাতারের সুজিত মাজিদের কথায়, ‘‘দেওয়াল ফাঁকা রাখতে হয়েছে। প্রার্থীর নাম লিখতে পারছি না। কবে প্রার্থী ঘোষণা হবে, সে দিকে চাতক পাখির মতো তাকিয়ে রয়েছি।’’ কাটোয়ার বিজেপি কর্মী রামকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, মঙ্গলকোটের মহাদেব চৌধুরীদের দাবি, ‘‘তাড়াতাড়ি প্রার্থী ঘোষণা হলে ভাল হয়।’’
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে বর্ধমানে কিছু পোস্টার নজরে পড়ে। বিজেপির কয়েকজন নেতা-নেত্রীর নাম ও ছবি দিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থী দাবি করা হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই বিজেপির নেতা-কর্মীরা পোস্টারগুলি ছিঁড়ে দেন। এ দিনই আবার ‘বিক্ষুব্ধ’ বিজেপি বলে পরিচিত কয়েকজন দাবি করেছেন, বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলায় ন’টি কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। আদি বিজেপি কর্মীদের গুরুত্ব না দেওয়া হলে দল ফল ভোগ করবে বলেও হুঁশিয়ারি তাঁদের।
তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের কটাক্ষ, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে যত কাণ্ড বিজেপিতে।’’ যদিও এ সব কিছুকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপির বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা। তাঁর দাবি, ‘‘ওই সব পোস্টার দিকে বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করা যাবে না। আর আমাদের দলে ‘বিক্ষুব্ধ’ বলে কিছু নেই। কারও প্রার্থী হওয়ার ব্যক্তিগত ইচ্ছে থাকতেই পারে। সেটা গণতান্ত্রিক অধিকার।’’ বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, খুব তাড়াতাড়িই দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy