Advertisement
০৪ জুলাই ২০২৪
Warehouse Fire

বারবার আগুন কারখানার গুদামে, অবরোধ ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁকসার দোমড়া গ্রামে রাজ্য সড়কের পাশে স্থানীয় এক বাসিন্দার একটি গুদাম ঘর রয়েছে।

আগুন নেভাচ্ছে দমকল।

আগুন নেভাচ্ছে দমকল। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁকসা শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪ ০৯:৪৩
Share: Save:

মদ কারখানার গুদামে রাখা বর্জ্যে আগুন লেগে সোমবার আতঙ্ক ছড়াল কাঁকসার দোমড়া গ্রামে। এলাকাবাসীর দাবি, বারবার গুদামে আগুন লাগছে। দুর্গন্ধে ভরে যাচ্ছে গোটা গ্রাম।বারবার কারখানা কর্তৃপক্ষকে গুদাম খালি করার কথা বলা হলেও কাজ হচ্ছে না। এর প্রতিবাদে এ দিন স্থানীয় বাসিন্দারা পানাগড়-দুবরাজপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ ওঠে। কারখানা কর্তৃপক্ষ ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁকসার দোমড়া গ্রামে রাজ্য সড়কের পাশে স্থানীয় এক বাসিন্দার একটি গুদাম ঘর রয়েছে। কয়েক মাস আগে পানাগড় শিল্প তালুকের কোটা এলাকার একটি মদ প্রস্তুতকারী কারখানার কর্তৃপক্ষ সেটি ভাড়া নেন। সেখানে কারখানার বর্জ্য রাখা হয়। এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ স্থানীয়েরা গুদামঘর থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন। ধোঁয়া দেখেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। অনেকের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।

আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, গুদামঘরটি বন্ধ থাকায় ভিতরে অক্সিজেনের অভাব ছিল। দমকলের দুই কর্মী মাস্ক পরে ও অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ভিতরে ঢুকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। দমকলকর্মী সুদীপ্ত পাল জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষকে আগেও ওই সব বর্জ্য গুদাম থেকে বার করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। প্রায় তিন ঘণ্টা তিনেক পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এলাকাবাসীর দাবি, মাঝেমধ্যেই গুদামে রাখা বর্জ্য বোঝাই বস্তায় আগুন লাগে। দিন দশেক আগেও আগুন লেগেছিল। দুর্গন্ধে ভরে গিয়েছিল গোটা এলাকা। সে বার দমকলের একটি ইঞ্জিন প্রায় ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তার সপ্তাহখানেক আগে আরও এক বার গুদামে আগুন লেগেছিল।

এ দিন আগুন লাগার পরেই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, গুদাম ঘরে মদ কারখানার বর্জ্য থাকায় এলাকায় এমনিতেই দুর্গন্ধ ছড়ায় এলাকায়। আগুন লাগার ফলে দূষণ বাড়ে। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল আসে কাঁকসা থানার পুলিশ। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।

কারখানা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে এসেছিলেন। তাঁদের সামনেও স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ উগরে দেন। এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, কারখানা কর্তৃপক্ষ গুদামঘরটি দ্রুত খালি করার আশ্বাস দিয়েছেন। যদিও কারখানার আধিকারিক সতীশ প্রসাদ এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kanksa
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE