শোকার্ত পরিজনেরা। িনজস্ব চিত্র
রাতে ডিউটিতে বেরিয়েছিলেন। সকালে গাছে ঝুলন্ত দেহ মিলল এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। পুলিশের দাবি, দেহের কাছে মিলেছে পাঁচটি চিরকূট। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দে পরিবার ও পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত সৌমেন বাগ (২৮) পূর্ব বর্ধমানের সমুদ্রগড় পঞ্চায়েতের নিচু চাপাহাটি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। সোমবার নাদনঘাট মোড় এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পাশে একটি গাছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ মেলে। সৌমেনবাবুর পরিবারের দাবি, রবিবার রাত ১০টা নাগাদ সৌমেনবাবু বাড়ি থেকে ‘কাজে যাচ্ছি’ বলে বেরোন। এ দিন সকালে তাঁর এক সহকর্মী এসে বাড়ির এক জনকে থানায় নিয়ে যান। তখনই জানা যায়, বাড়ির ছোট ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। এ দিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দেহের ময়না-তদন্তও হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, ঘটনাটি আত্মহত্যা। তবে গাছে দড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার আগে বিষ পানও করেন তিনি। পুলিশের দাবি, মৃত্যু নিশ্চিত করতেই এই ঘটনা।
পুলিশের দাবি, ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের খোঁজ না মেলায় মোটরবাইকে টহলদার পুলিশকর্মীরা তাঁর খোঁজ শুরু করেন। দেহের সঙ্গে মৃতের সই করা পাঁচটি চিরকূটও মেলে। তদন্তকারীরা জানান, একটি লেখা রয়েছে, ‘বাবা-মা আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমি তোমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছি। এ ছাড়া আমার কাছে আর কোনও রাস্তা নেই। কারণ আমি ভুল রাস্তায় চলে গিয়েছি। যেখান থেকে বেরোতে পারছি না। তাই সবাইকে ছেড়ে চলে যাচ্ছি’। অন্য চিরকূটগুলিতেও কোথাও লেখা রয়েছে, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন। কোথাও দাদা-বৌদি, পুলিশ কর্তা এবং সিভিক ভলান্টিয়ার বন্ধুদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। যদিও তিনি কীসে জড়িয়ে পড়েছিলেন বা কী এমন করেছিলেন যে আত্মহত্যা করতে হল, তার কোনও উত্তর নেই পরিবার ও সহকর্মীদের কাছে। পুলিশের দাবি, সবে ময়না-তদন্ত হয়েছে। আশা করা যায়, দ্রুত সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।
আচমকা ছেলেকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন বৃদ্ধ বাবা গোবিন্দ বাগ। তিনি বলেন, ‘‘দুই ছেলের মধ্যে সৌমেন ছোট। ছোট থেকেই ও শান্ত, হাসিখুশি। ওর এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না। পুলিশ তদন্ত করে সত্যিটা বার করুক।’’ এক আত্মীয় কৈলাস বাগের দাবি, ‘‘রাতে কাজে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিল। সকালে ফেরার কথা ছিল। কী হয়ে গেল, বুঝতে পারছি না।’’
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব দাস বলেন, ‘‘একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy