বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ স্তরের পাঁচ পদে নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। সেই পাঁচ আধিকারিককে আগামী সোমবার কর্মসমিতির সামনে হাজির হয়ে লিখিত ভাবে সপক্ষে বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠালেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব সুজিত চৌধুরী।
সম্প্রতি রেজিস্ট্রার, ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান, প্রকাশনা আধিকারিক, দূরশিক্ষা বিভাগের দুই সহকারী অধিকর্তা পদে নিয়োগে ‘বেনিয়ম’ হয়েছে বলে কয়েক জন শিক্ষক আচার্যের কাছে অভিযোগ জানান। অভিযোগ ওঠে, তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ঘাটতি সম্পর্কেও। আচার্যের নির্দেশে উচ্চশিক্ষা দফতর পুরুলিয়ার সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক মণ্ডল বিষয়টির তদন্ত করেন। আচার্য ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়া ২৭২ পাতার সেই তদন্ত রিপোর্ট বর্ধমানের প্রাক্তন উপাচার্যের আমলে ওই পাঁচ পদে নিয়োগে বেনিয়মের কথা জানান দীপকবাবু।
সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ওই পাঁচ শীর্ষ আধিকারিকের বক্তব্য শোনার জন্যেই কর্মসমিতির বৈঠকে তাঁদের ডাকা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর। ওই দিনই তদন্ত রিপোর্ট দেখার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কী করণীয়, তার রিপোর্টও জমা দেবে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনিল ভুঁইয়ার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের কমিটি। মঙ্গলবার অনিলবাবু বলেন, ‘‘এখনও আমরা ওই তদন্তের উপর মন্তব্য করে কোনও রিপোর্ট জমা দিইনি। তবে খুব শীঘ্রই জমা দেওয়া হবে।”
এ দিন রেজিস্ট্রার দেবকুমার পাঁজা বিদেশে থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। দূরশিক্ষা বিভাগের সহকারী আধিকর্তা অংশুমান গোস্বামীর মোবাইল সারাদিন বন্ধ পাওয়া গিয়েছে। ওই বিভাগেরই অন্য সহকারী অধিকর্তা ননীগোপাল ঘোষ বলেন, “কথা বলার পরিস্থিতিতে নেই।” ডেপুটি লাইব্রেরিয়েন মোনালি পালৌধী মিত্র ও প্রকাশনা আধিকারিক সন্তু ঘোষেরাও ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গোপন বিষয়’ বলে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি।
উপাচার্য নিমাই সাহা বলেন, “এখনই মন্তব্য করব না।’’ কথা বলতে চাননি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy