দুর্গাপুরের রাস্তায় দেখা মিলছে এই রকম বাইকের। নিজস্ব চিত্র
সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিউতি উঁকি দিতেই দুর্গাপুরের শশীভূষণ কোনারের নজরে পড়ে বিজ্ঞাপনটা। আর তার পরেই যোগাযোগ। মেলে ‘ডিলারশিপ’ও। তাঁর হাত ধরেই ছাতাওয়ালা মোটরবাইক দেখা যাচ্ছে দুর্গাপুরের রাস্তায়। চালকদের দাবি, এই ‘বাইক আমব্রেলা’ রোদ-জল থেকে বাঁচতে ভীষণ কাজে লাগছে।
কী ভাবে কাজ করছে এই ছাউনি? চালকেরা জানান, বিশেষ ধরনের প্লাস্টিকের চাদর ও ‘ফ্লেক্সিবল ফাইবার রড’ দিয়ে তৈরি হয়েছে ছাতাটি। সামনে রয়েছে স্বচ্ছ প্লাস্টিক, যা চেন দিয়ে খোলা-বন্ধের ব্যবস্থাও রয়েছে। ফলে হাওয়া লাগে। দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গি মোড়ের হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী শশীভূষণবাবুর দাবি, বিমানে ‘এয়ার ইন মোশেন’ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে এই ছাতায়। চালকদের দাবি, মোটরবাইক ঘণ্টায় ৫০-৫৫ কিলোমিটার চললেও সমস্যা হচ্ছে না। দামও নাগালের মধ্যে, ৯৯৯ টাকা।
এমন ছাউনি শহরে বিক্রির পরিকল্পনার কথা শোনালেন শশীভূষণবাবুই। তিনি জানান, মাস দুয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্ধ্রপ্রদেশের এক ‘বাইক আমব্রেলা’ বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ হয়। সেখান থেকেই আসে এই ধরনের ছাতাগুলি। ভিড়িঙ্গি মোড়ের ওই বিক্রেতা বর্তমানে এই ধরনের ছাতার ডিলারও বটে। তাঁর দাবি, হাওড়া, বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, মেদিনীপুর-সহ রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে এই ধরনের ছাতার বরাত পেয়েছেন তিনি। ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে তা দুর্গাপুর থেকে পাঠানোও হচ্ছে। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়া থেকেও এক জন ফোন করে এই ধরনের ছাতার বরাত দিতে চেয়েছিলেন বলে দাবি শশীভূষণবাবুর। তবে বিদেশের বাজারে পা রাখার পরিকল্পনা আপাতত নেই বলেই জানান তিনি। ক্রেতা পেলে অন্যান্য বিক্রেতারও আপাতত শশীভূষণবাবুর কাছ থেকে এই ধরনের ছাতা কিনছেন বলে জানা গিয়েছে।
এমন ছাতা মোটরবাইকে লাগিয়ে খুশি চালকেরাও। তেমনই এক জন, ডিএসপি টাউনশিপের সৌরভ সরকার বলেন, ‘‘রোদ-জল মাথায় নিয়েও বাইক চালাতে পারছি। কোনও অসুবিধা হচ্ছে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy