আমরণ অনশনে ২ ইউআইটি কর্মী। নিজস্ব চিত্র।
নতুন পে কমিশনের সুযোগ দিতে হবে। সেই সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের। এই দাবি নিয়ে আমরণ অনশন শুরু করলেন বর্ধমানের ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (ইউআইটি) ২ কর্মী। একই দাবিতে আগে তাঁরা রিলে অনশনে বসেছিলেন। সোমবার শুরু করলেন আমরণ অনশন। গোটা বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তি বাড়ছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
অনশনে বসেছেন ইউআইটি কর্মী প্রতীম দে এবং অমিয় ঘোষ। প্রীতম দাবি করেছেন, ১ বছর হয়ে গেলেও তাঁদের নতুন পে কমিশনের সুযোগ এখনও দেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিল এখনও গোটা বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রেখেছে। বারবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও কোনও কাজ না হওয়ায় তাঁরা বাধ্য হয়ে আমরণ অনশনে বসেছেন। যদিও ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে বিষয়ে তাঁরা সতর্ক রয়েছেন।
অমিয় অভিযোগ করেছেন, তাঁদের বর্ধিত বেতন না দিলেও ইউআইটি-র অধ্যক্ষ তা নিয়ে যাচ্ছেন। কর্মীদের না দিলেও অধ্যক্ষ নিজে নতুন পে কমিশনের স্কেল অনুযায়ী প্রিন্সিপ্যাল অ্যালাওয়েন্স ঠিক নিয়ে নিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে বেশ কিছু অনৈতিক আর্থিক সুবিধাও ভোগ করছেন অধ্যক্ষ। তিনি নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসনে থাকছেন আবার ঘরভাড়ার টাকাও নিচ্ছেন।
অমিয়র দাবি, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য-সহ সব আধিকারিককে তথ্য প্রমাণ-সহ অধ্যক্ষের এই সব কাজের কথা জানিয়েছেন। যার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কেবল একটি এথিক্যাল কমিটি গঠনের কথা বলেছে মাত্র। অধ্যক্ষ যদি এই সব কাজের পরেও নিজের পদে বহাল থাকেন তবে এথিক্যাল কমিটির ফলাফলই বা কী হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান কর্মীরা।
এর মধ্যে শোনা গিয়েছে ইউআইটি-র আর্থিক পরিচালনার দায়ভারও নাকি বিশ্ববিদ্যালয় ইউটিআই-এর হাতেই সঁপে দেওয়ার কথাবার্তা চলছে। ফলে তা হলে গোটা বিষয়টি কোন দিকে যাবে তা নিয়ে কর্মীরা সম্পূর্ণ ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছেন। সব মিলিয়ে ইউআইটি-র অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম এবং কর্মীদের অনশন আন্দোলনের জেরে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy