ছবি: সংগৃহীত
বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মঙ্গলবার দিল্লিতে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় ইস্পাতমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। সিটু, আইএনটিইউসি, বিএমএস, এইচএমএস এবং এআইটিইউসি-র প্রতিনিধিরা বৈঠকে ছিলেন। ছিলেন সেলের প্রতিনিধিও।
সিটুর প্রতিনিধি হিসাবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্পাদক তপন সেন, দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের নেতা বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সিটু সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রমিকদের নতুন বেতন চুক্তি বকেয়া হয়ে রয়েছে ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে। অথচ, ‘ন্যাশনাল জয়েন্ট কমিটি ফর স্টিল’-এর বৈঠকে নতুন বেতন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়নি। এর জেরে শ্রমিক-কর্মীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। আরও অভিযোগ, আগের বেতন চুক্তি অনুযায়ীও সব কিছু রূপায়িত হয়নি। যেমন, কর্তৃপক্ষের তরফে পেনশন তহবিলে অর্থ জমা দেওয়া শুরু হয়নি। মন্ত্রী দ্রুত বেতন চুক্তি নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন।
শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবি, এ দিন বৈঠকে এএসপি, ভদ্রাবতী ও সালেমের ইস্পাত কারখানার বিলগ্নিকরণের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান তাদের প্রতিনিধিরা। তাঁরা দাবি করেন, এই কারখানাগুলিতে বিশেষ ধরনের ইস্পাত উৎপাদন হয়। কিন্তু কারখানা আধুনিকীকরণের জন্য সরকারের তরফে সময়ে বিনিয়োগ না হওয়ার কারণে সেগুলি রুগ্ণ হয়ে পড়েছে। যদি সরকারের তরফে বিনিয়োগ করা হয় তাহলে ফের কারখানাগুলিকে লাভজনক করে তোলা সম্ভব বলে দাবি করেন শ্রমিক নেতারা। শ্রমিকেরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতায় রাজি বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। তবে বিষয়টি ক্যাবিনেট কমিটির সিদ্ধান্ত জানিয়ে মন্ত্রী কোনও নির্দিষ্ট আশ্বাস দেননি।
এ দিন শ্রমিক নেতারা বিভিন্ন কারখানার জরুরি বিভাগে কর্মী সঙ্কটের প্রসঙ্গও তোলেন। ঠিকা শ্রমিকদের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বেতন নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয় বৈঠকে। টাউনশিপের নাগরিক পরিষেবা এবং ডিএসপি হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবিও জানান শ্রমিক নেতারা। টাউনশিপে ‘স্মার্ট সিটি’র মতো পরিষেবা দেওয়া এবং হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নে মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy