Advertisement
৩১ জানুয়ারি ২০২৫
ECL

ইসিএল ‘চোর’, বিধায়কের মন্তব্যে বিতর্ক

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অণ্ডালের জামবাদে বাড়ি-সহ মহিলার ভূগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনার পরেই এমন মন্তব্য করেন জিতেন্দ্রবাবু।

ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২০ ০৬:২৪
Share: Save:

ইসিএল ও সংস্থার আধিকারিকেরা ‘চোর’, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োয় (সত্যাসত্য যাচাই করেনি আনন্দবাজার) এমনই বলতে শোনা গিয়েছে পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে জেলায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অণ্ডালের জামবাদে বাড়ি-সহ মহিলার ভূগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনার পরেই এমন মন্তব্য করেন জিতেন্দ্রবাবু। কিন্তু কেন এমন মন্তব্য? বিধায়কের দাবি, জামবাদ খোলামুখ খনির প্রায় দেড়শো ফুট দূরে পরিত্যক্ত খনিকর্মী আবাসনের ১৩টি-সহ লাগোয়া এলাকার প্রায় ৪২টি পরিবারকে পুনর্বাসন দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ২০১৯-এ সংস্থার সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, পুনর্বাসন না দেওয়া পর্যন্ত আবাসনের দিক ঘেঁষে কয়লা কাটা হবে না। কতদূর কয়লা কাটা হবে, তা-ও চিহ্নিত করেন সংস্থার প্রতিনিধিরা। এর পরেই জিতেন্দ্রবাবু তাঁর মন্তব্য প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘‘ইসিএল সিদ্ধান্ত না মেনে রাতের অন্ধকারে চুরি করে আবাসনের দিকেই কয়লা কাটতে কাটতে এগিয়ে এসেছে। তাই ওই সংস্থাকে চোর আখ্যা দিয়েছি।’’

যদিও জিতেন্দ্রবাবুর এই মন্তব্যের পরেই তাঁকে বিঁধেছেন বিরোধীরা। বিজেপি নেতা সন্তোষ সিংহ বলেন, “এলাকাবাসীকে পুনর্বাসন দেওয়ার দায়িত্ব রাজ্য সরকার এড়িয়ে যেতে পারে না। তাই, সেই ত্রুটি ঢাকতেই জিতেন্দ্রবাবু এখন ভুল বকছেন।’’

পাশাপাশি, জিতেন্দ্রবাবুর কয়লা কাটায় সিদ্ধান্ত না মানার অভিযোগ প্রসঙ্গে ইসিএল-এর সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় জানান, জামবাদ খোলামুখ খনির পাশে ইসিএল-এর জায়গায় বাড়ি করে বসবাস করছেন কিছু স্থানীয় বাসিন্দা। ২০১৩-য় রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁদের একটি বৈঠক হয়। তখন প্রত্যেককে সংস্থার পক্ষ এলাকা ছাড়ার জন্য এককালীন দশ হাজার টাকা করে অনুদান দিতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু নিজেদের জমি না থাকায় কেউই এলাকা থেকে সরতে চাননি বলে অভিযোগ নীলাদ্রিবাবুর।

পাশাপাশি, ইসিএল-কর্তাদের আরও দাবি, ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে রাজ্য সরকারের সঙ্গে ফের বৈঠক হয় ইসিএল-এর। ইসিএল কর্তাদের দাবি, ওই বৈঠকে বাসিন্দাদের পুনর্বাসন দিতে রাজ্য সরকার জমি দিতে চায়। কিন্তু, তার পরেও এলাকাবাসী সেখানে থেকে যান। তাঁরা দাবি জানান, ইসিএল-কে বাড়ি বানিয়ে দিতে হবে। নীলাদ্রিবাবুর দাবি, ‘‘বাড়ি বানানো সংস্থার পক্ষে সম্ভব নয়। এর পরে ধসপ্রবণ কর্মী আবাসন ও লাগোয়া এলাকা থেকে ২০১৯-এ ফের সবাইকে চলে যেতে বলা হয়। এলাকাটিকে ‘অসুরক্ষিত’ ঘোষণা করা হয়েছিল। তাতেও কিছু লাভ হয়নি।’’ জিতেন্দ্রবাবুর ‘চোর’-মন্তব্য প্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি নীলাদ্রিবাবু।

অন্য বিষয়গুলি:

ECL TMC MLA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy