—নিজস্ব চিত্র।
সম্প্রতিই পুরভোটের প্রচারে ‘কাঁচাবাদাম’ গান খ্যাত বীরভূমের ভুবন বাদ্যকরকে ডেকে এনেছিলেন আসানসোল পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী উৎপল সিংহ। কোভিডের সাম্প্রতিক স্ফীতির আবহে প্রচারে ভুবনকে দেখতে দলে দলে ছুটে আসা মাস্কহীন ভিড়ের দৃশ্য নিয়ে জোর বিতর্কও তৈরি হয়েছিল। এ বার মায়াপুর ইসকনের হরিনাম সংকীর্তনীদের ডেকে আনলেন উৎপল।
তৃণমূলপ্রার্থীর দাবি, করোনার সংক্রমণে রাশ টানতেই হরিনামের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োতে সংকীর্তনীদের হাতে পোস্টারও দেখা গিয়েছে। তাতে লেখা, ‘অযথা করোনা-ভীতি ছড়াবেন না’, কোথাও লেখা, ‘কোনও ভাইরাসই বৈষম্য করে না, আমাদেরও তা করা উচিত নয়’। উৎপলের কথায়, ‘‘পৃথিবীব্যাপী করোনা ও ওমিক্রনে সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, মারাও যাচ্ছেন। এই করোনাকে আটাকানোর জন্য তারা এই হরিনাম সংকীর্তন করছেন।’’
জোড়াফুল শিবিরের এই প্রচার-কৌশলের বিরোধিতা করে বিজেপি প্রার্থী বাবলু বিশ্বাসের বক্তব্য, ‘‘ভোটের প্রচার করতেই উনি হরিনাম সংকীর্তনীদের নিয়ে এলেন। বলতেই হয়, তৃণমূলের শুভবুদ্ধি হয়েছে। নির্বাচনের সময় ওঁরা ঠাকুরের নাম নিচ্ছেন দেখে ভাল লাগছে। বারো মাস এ ভাবেই ঠাকুরের নাম নিলে সকলের মঙ্গল হয়।’’
যদিও ইসকনের আসানসোল শাখার সদস্য দয়ানন্দ দাস বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্যই গিয়েছিলাম এবং মাস্কও বিতরণ করেছি। কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না।’’
গত সোমবারই ভুবনকে ডেকে এনে প্রচারে মেতেছিলেন উৎপল। প্রচারে প্রাণ আনতে শুধু ভুবনের গানেই থেমে থাকেননি জোড়াফুল শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা। প্রচারের ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, গানের মাঝে মঞ্চ থেকে হরির লুটের মতো ছুড়ে দেওয়া হচ্ছে কাঁচাবাদাম। যা কুড়োতে গিয়ে এক ঝাঁক মাছের মতো হামলে পড়ছে কচিকাচা থেকে শুরু করে পুরুষ-মহিলারা। প্রচার-মঞ্চ থেকে সকলকে মাস্ক পরার অনুরোধ করতে দেখা গিয়েছে ভুবনকে। কিন্তু কে শোনে কার কথা! কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে শারীরিক দূরত্ববিধি শিকেয় ওঠায় প্রশ্নের মুখে পড়েছিল শাসকদলের ভূমিকা। এ বার কোভিড সচেতনতা প্রচারে সংকীর্তনীদের ডাকলেন তৃণমূল প্রার্থী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy