প্রতীকী ছবি।
করোনার টিকা নেওয়ার পরেও একাধিবার ভাইরাস আক্রান্ত হতে দেখা গিয়েছে অনেককে। এখন করোনার বুস্টার টিকা নেওয়ার পরেও অনেকের মধ্যে নানা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। তবে সেটাকে ভয় না পেয়ে সামান্য চিকিৎসাতেই উপশম পাওয়া যায় বলে দাবি চিকিৎসক সৌরভ ঘোষের। উত্তর কলকাতার নবজীবন হাসপাতালের চিকিৎসক সৌরভ জানান, উপসর্গ দেখা দেওয়া মানেই করোনা সংক্রমণ এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। টিকা নেওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবেও উপসর্গ দেখা দিতে পারে। আর সে জন্য উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা করলেই নিরাময় সম্ভব। তবে সব সময়েই বেশি করে জল খাওয়াটা বাধ্যতামূলক। এটা সুস্থ হতে সাহায্য করে।
সৌরভ আরও বলেন, ‘‘করোনা ভাইরাস গত দু’বছর ধরে আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। আমরা প্রায় সকলেই টিকা নিয়েছি। দেশের প্রায় সব নাগরিকই প্রথম ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। বড় অংশের দ্বিতীয় ডোজ হয়ে গিয়েছে। এর পরেও আমাদের কাছে প্রচুর রোগী নানা রকম উপসর্গ নিয়ে আসছেন। প্রধান উপসর্গ কিন্তু জ্বর নয়। প্রথম দিকে গলা ব্যাথা, সর্দির উপসর্গ বেশি থাকছে। কারও কারও জ্বরের মতো উপসর্গও রয়েছে। এঁদের অনেকেরই পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে করোনা পজিটিভ। সে ক্ষেত্রে কিছু উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হচ্ছে। আবার অক্সিজেনের মাত্র ৯৪ শতাংশের নীচে নেমে গেলে হাসপাতালে ভর্তিও করতে হচ্ছে।’’
কিন্তু বুস্টার টিকা নেওয়ার পরেও যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন? সৌরভ বলেন, ‘‘উপসর্গ মানেই আক্রান্ত ভাবার কোনও কারণ নেই। মনে রাখতে হবে টিকার থেকে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াতেও সাময়িক উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সামান্য কিছু ওষুধ খেলেই দু-এক দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন সকলে।’’
কী ধরনের চিকিৎসা করা হচ্ছে? সৌরভ বলেন, ‘‘এটা ঠিক যে কিছু কিছু মানুষ বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরেও বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে আসছেন। এঁদের বড় অংশই প্রবীণ নাগরিক। সে সব ক্ষেত্রে আমরা উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা করছি। প্যারাসিটামল, কাফ সিরাফ, অ্যান্টি অ্যালার্জিক দিতে হচ্ছে। প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক ও ইনহেলার দিলে কাজ হচ্ছে। সঙ্গে উষ্ণ জলে গার্গল করলেও রোগীরা ভাল হয়ে যাচ্ছেন।’’
শহরের অন্যান্য চিকিৎসকদের মতো সৌরভও মনে করেন এই সব উপসর্গ থেকে বাঁচতে জল খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যতটা সম্ভব বেশি জল খেতে হবে। একই সঙ্গে গরম জল খাওয়ার কথাও বলছে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা যেটা বলছি যে এই রকম উপসর্গ দেখা দিলে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। শরীরে জলের মাত্রা যেন কোনও ভাবেই কম হয়ে না যায়। পরামর্শ মানলে দু-চার দিনের মধ্যেই রোগীরা সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। তাই অযথা চিন্তার কোনও কারণ নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy