প্রতীকী ছবি।
মুখ্যমন্ত্রী শহরে পৌঁছনোর আগেই তোলা চেয়ে দোকানে বোমাবাজির জোড়া অভিযোগের কিনারা করে ফেলল জেলা পুলিশ। রবিবার দুপুরে বর্ধমান শহরের জিটি রোড দিয়ে মোটরবাইকে ২০ লিটার তরল মাদক নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করে। পরে তল্লাশি চালিয়ে এক জনের বাড়ি থেকে তিনটে বোমাও উদ্ধার হয়েছে, পুলিশের দাবি।
জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “১৯ অগস্টের ঘটনার পরেই তদন্ত শুরু হয়েছিল। শুক্রবার রাতে আর একটি ঘটনার পরে ডিএসপি (সদর)-র নেতৃত্বে দল গঠন করা হয়। শনিবারই তাঁরা দোষীদের চিহ্নিত করে ফেলেন। অভিযুক্তদের গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছিল। রবিবার দুপুরে তরল মাদক পাচার করার সময় তাদের ধরা হয়।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত শেখ সাইদুল ও শেখ রবির বাড়ি মেমারির দুর্গাগ্রামে। তাঁদের সঙ্গে থাকা রাজেশ রায় বিহারের বেগুসরাইয়ের বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, শেখ সাইদুল একাধিক অপরাধে অভিযুক্ত। টানা সাত মাস প্রেসিডেন্সি জেলে থাকাকালীন রাজেশের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। রাজেশও বেশ কিছু দিন ধরে দুর্গাগ্রামে থাকছিলেন। বোমা ছোড়ায় তিনি সিদ্ধহস্ত বলে জেনেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে কার্জন গেট থেকে দু’শো মিটার দূরে জিটি রোডের ধারে একটি বিরিয়ানি দোকানে বোমা ছোড়া হয়। জখম হন দোকানের ছয় কর্মী। ওই দোকানের মালিক রতন সোনকারের অভিযোগ ছিল, অচেনা নম্বর থেকে ফোন করে হিন্দিতে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। কিছুক্ষণ পরেই দোকানের ভিতর বোমা পড়ে। ফের ফোন করে ‘টাকা না দিলে এ ভাবেই বোমা পড়বে’ বলে হুমকি দেওয়া হয়, বলেও তাঁর দাবি। ১৯ অগস্ট রাতে শহরের কৃষ্ণপুর মোড়ের একটি বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের দোকানেও একই কায়দায় ফোন ও বোমা ছোড়ার ঘটনা ঘটে। যদিও সুতলি বোমাটি ফাটেনি। পরে ফোন করে হিন্দিতে জানানো হয়, ‘এটা তো সবে ট্রেলর’।
জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, “দোকানের নামের বোর্ডে থাকা নম্বর দেখে ফোন করত দুষ্কৃতীরা। টাকা চাওয়ার পরেই বোমা ছুড়ে ভয় দেখাত।’’ পুলিশের দাবি, জেলা ক্রাইম ইউনিট এ ব্যাপারে তৎপর ছিল। কিন্তু মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে দোষীদের কাছে পৌঁছনো যাচ্ছিল না। এর পরেই মোবাইলের সিমকার্ড কোথায়, কার কাছে কেনা হয়েছে সেই তথ্য জোগাড় করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ‘প্রি-অ্যাক্টিভেটেড’ সিম ব্যবহার করা হয়েছে। ঘটনার ‘মাস্টার মাইন্ড’ শেখ সাইদুল ওই সিম কিনেছে। মাত্র দু’বার কথা বলা হয়েছে ওই সিম থেকে। দু’বারই হুমকি দিয়ে, তোলা চেয়ে বর্ধমান শহরের ওই দুই ব্যবসায়ীর কাছে ফোন গিয়েছিল। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করাটাই মূল উদ্দেশ্য ছিল। তবে ভয় দেখাতে পারলেও টাকা আদায় করার আগেই পুরো দলটিই পুলিশের জালে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy