ফাইল চিত্র।
আজ, শুক্রবার রাজারহাটে বিজেপির বিভিন্ন জেলার বিধায়ক, সাংসদ ও দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বৈঠক হওয়ার কথা বলে দলীয় সূত্রে খবর। সে বৈঠকে কী-কী প্রশ্ন উঠতে পারে, সে সম্পর্কে আগেভাগেই প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে বলে জানান দলের আসানসোল জেলা সভাপতি দিলীপ দে। ‘সম্ভাব্য প্রশ্নগুলির’ মধ্যে সম্প্রতি জেলায় বামেদের প্রভাব বেড়েছে কি না, কোন জেলায় কত জন দলীয় নেতা-কর্মী বিজেপি ছেড়েছেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, তৃণমূল ছেড়ে কেউ দলে আসতে চাইছেন কি না, এগুলি থাকতে পারে বলে বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের দাবি।
বৃহস্পতিবার দিলীপ বলেন, “দল সরাসরি কোনও প্রশ্ন তালিকা পাঠায়নি। তবে বামেদের প্রভাব, দলবদল-সহ নানা বিষয় নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠকে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হলে কী জবাব দেওয়া হবে, তা আমরা ঠিক করে রেখেছি।” জেলা বিজেপির পর্যবেক্ষণ: জেলায় দলের শক্তি কিছুটা কমেছে। কিন্তু বামেদের শক্তিবৃদ্ধি ঘটেনি। দিলীপ-সহ জেলা বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ এ প্রসঙ্গে জানাচ্ছেন, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে আসানসোল পুর-এলাকায় ১০৬টির মধ্যে দল এগিয়ে ছিল ৯৮টিতে। ২০২১-এর বিধানসভায় তা ছিল ৬৬টি এবং ২০২২-এর লোকসভা উপনির্বাচনে তা হয় ৫৬টি। কিন্তু বামেরা এই সব নির্বাচনে কোনও ওয়ার্ডেই এগিয়ে ছিল না। দিলীপের দাবি, “এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, বামেরা ক্ষয়িষ্ণু শক্তি। সুতরাং, এ জেলায় তাদের নিয়ে ভাবার কিছু নেই।” তবে ২০১৫-র আসানসোল পুরভোটে বাম ও বিজেপি যথাক্রমে ১৬টি ও আটটি ওয়ার্ডে জিতেছিল। ২০২২-এর পুরভোটে বামেরা দু’টি এবং বিজেপি সাতটি ওয়ার্ডে জিতেছে। পাশাপাশি, ২০১৯-এর লোকসভা, ২০২১-এর বিধানসভা এবং ২০২২-এর লোকসভা উপনির্বাচনে জেলায় বামেদের ভোটপ্রাপ্তি ছিল যথাক্রমে ৮.৪০ শতাংশ, ৮.৬৩ শতাংশ এবং ৭.৭৯ শতাংশ। একই ক্ষেত্রে বিজেপির শতাংশগুলি যথাক্রমে, ৫১, ৪৩.৪ ও ৩০.৪৬ শতাংশ। কিন্তু বামেদের নিয়ে ‘আগ্রহ’ কেন? জেলার রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, কলকাতা পুরভোট থেকে শুরু করে বিভিন্ন উপনির্বাচন এবং জেলার পুরভোটে বেশ কিছু জায়গায় বিজেপিকে সরিয়ে বামেদের দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়ের মত, “আমাদের ভোট কিছুটা হলেও বাড়ছে। দ্রুত আমরা প্রধান বিরোধী শক্তি হিসেবে উঠে আসছি। বিজেপির আমাদের নিয়ে গবেষণা করার দরকার নেই।”
এ দিকে, জেলা বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পরে, নিচুতলার কর্মীদের ‘কেউ-কেউ’ তৃণমূলে গিয়েছেন। যদিও, তৃণমূলের দাবি, সংখ্যাটা প্রায় সাড়ে তিন হাজারের আশপাশে। দিলীপের আরও দাবি, “আমাদের যে সব নেতারা, তৃণমূলে গিয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে, তাঁরা কেউই প্রকৃত পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ কেউ নন। পাশাপাশি, জেলা জুড়েই তৃণমূলের কোন্দল বাড়ছে। তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা গোপনে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও রাখছেন। পুরো বিষয়টিই আমরা শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে জানাব।” যদিও এ সব বিষয়কে আমল দিচ্ছেন না তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন। তাঁর কথায়, “ওরা দ্বিতীয় স্থানের জন্য লড়ছে। আমাদের কোনও দ্বন্দ্ব নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy