চলছে পরিষ্কার। নিজস্ব চিত্র
গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নর্দমার জল উপচে পড়ছিল। অভিযোগ, বারবার বলেও পুরসভা কান দেয়নি। শেষ পর্যন্ত এলাকার বিদায়ী কংগ্রেস কাউন্সিলরের উদ্যোগে পাড়ার যুবকেরাই হাত লাগালেন নালা সাফাইয়ে। মঙ্গল ও বুধবার বৃষ্টির মধ্যেই বেলচা, কোদাল, বাঁশ হাতে কাজ করেন তাঁরা। পাঁক তুলতে হাত লাগান বিদায়ী কাউন্সিলর শ্যামল সরকারও। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, পুরোটাই ‘নাটক।
মেমারি শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীদুর্গা পল্লি ও সার্কাস মাঠ সংলগ্ন এলাকায় নিকাশির হাল নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল এলাকায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, নর্দমা পরিষ্কার হচ্ছিল না বলে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। বেড়েছিল মশা-মাছির উপদ্রব। অবস্থা দেখে মঙ্গলবার সকাল থেকে ১৫-২০ জন বাসিন্দা নিয়ে নর্দমা সাফাইয়ে নেমে পড়েন শ্যামলবাবু। ছোট-ছোট নর্দমা থেকে পলি তোলা হয়। মজে থাকা কালভার্টগুলি বাঁশ দিয়ে খুঁচিয়ে পরিষ্কার করা হয়। আবার কোথাও মাটি কেটে নালার জল বার করার ব্যবস্থা করেন শ্যামলবাবু। তাঁর সঙ্গে থাকা সুখেন্দু রায়, প্রতীক সরকারদের দাবি, ‘‘পুরসভা পাড়ার ভিতরে থাকা নর্দমার পলি পরিষ্কার করে না। ফি বছরই আমাদের নামতে হয়। এ বছর পাড়ার অনেকেই হাত লাগিয়েছেন।’’ দু’দিন সকাল সাড়ে ৬টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত কাজ করেছেন তাঁরা।
পেশায় আইনজীবী শ্যামলবাবুর দাবি, ‘‘পুরসভা বড় নর্দমা পরিষ্কার করলেও, পাড়ার নর্দমার পলি তোলে না। কালভার্ট সাফ করে না। সে জন্য নিকাশির জল আটকে যাচ্ছে। নোংরা জল রাস্তায় উপচে পড়ছে। তাই বৃষ্টিতে ভিজেও কাজে হাত লাগিয়েছি।’’
মেমারির সিপিএম নেতা পিন্টু ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “নিকাশি নালার জল উপচে পড়া নিয়ে পড়শিদের মধ্যে গোলমাল বাধছে। পুরসভা নিষ্ক্রিয়। বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদেরই রাস্তায় নামতে হবে।’’ বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য ভীষ্মদেব ভট্টাচার্য আবার বলেন, “তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা তো বটেই, কংগ্রেসের কাউন্সিলরও ওয়ার্ডে কাজ করেন না। সেটা ভালই বোঝা যাচ্ছে।’’ তৃণমূল নেতা বাবু হাজরার অবশ্য কটাক্ষ, ‘‘কাউন্সিলর নিজেই স্বীকার করছেন, পুরসভা সাফাই করে। তা হলে কি রাজনীতি করা আর ছবি তোলার জন্য নাটক করা হল?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy