ছবি: সংগৃহীত।
পদাধিকারী থেকে কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে হেঁটে এ বার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ও দায়িত্ব দিতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (এসএসসি)। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
এই সিদ্ধান্তে এক ঢিলে অনেকগুলি পাখি মারল কর্মসমিতি, মনে করছেন সদস্যেরা। তাঁদের একাংশের দাবি, ক্রমাগত রাজনৈতিক চাপে নতুন নিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না কর্তৃপক্ষ। নিয়োগে স্বচ্ছতা নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখেও পড়তে হচ্ছিল। কর্মী নিয়োগ ঘিরে সহ্য করতে হচ্ছিল ইউনিয়নগুলির দাপট। নিয়োগ-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মাথা গলান ছাত্র নেতাদের অনেকেও। এই সিদ্ধান্তে সে সবই বন্ধ করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি পদে নিয়োগ নিয়ে ‘বেনিয়ম’ হয়েছে বলে আচার্য তথা রাজ্যপালের নির্দেশে গঠিত এক সদস্যের তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিয়েছে। এ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে নিয়োগ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। ওই পদের ১৯ জন কর্মী ‘অস্থায়ী’ না ‘স্থায়ী’ সে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আইনের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। সম্প্রতি উপাচার্য নিমাই সাহা বিভিন্ন দফতর ঘুরে ‘ভুয়ো’ কর্মীর খোঁজও পান। সে কারণেই তিনি নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি এসএসসি-র হাতে তুলে দিতে চাইছিলেন। বৃহস্পতিবার কর্মসমিতি তাতে সিলমোহর দেয়। উপাচার্য বলেন, ‘‘কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের জন্য এসএসসিকে চিঠি দিয়েছে। আমরাও সেই পথে হাঁটলাম।’’
ওই বৈঠকে পদোন্নতির জন্য আগের নিয়মেই ফিরে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৮৫ সালের নিয়মে, অগ্রজ-কর্মীদের আগে পদোন্নতি চালু হয়। কিন্তু সাত বছর পরে সেই নিয়ম তুলে পরীক্ষা-ব্যবস্থা ফেরানো হয়। সেখানেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। শাসক সংগঠনের একের পর এক নেতার পদোন্নতি হতে থাকে বলেও অভিযোগ। বৃহস্পতিবার কর্মসমিতিতে আলোচনা হয়, অনেক প্রবীণ কর্মী প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সে জন্য পরীক্ষা-পদ্ধতি বাতিল করা হয়। শাসকদলের দু’টি সংগঠনই অবশ্য কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে খুশি নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy