১০ ফেব্রুয়ারি কাটোয়ার পঞ্চানন তলা উচ্চ বিদ্যালয়ে থেকে ‘চুরি’ হয়ে যায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দৈনিক হাজিরা খাতা। নিজস্ব চিত্র।
খোয়া গিয়েছিল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দৈনিক হাজিরা খাতা। অভিযোগ, গত ১০ ফেব্রুয়ারি কাটোয়ার পঞ্চানন তলা উচ্চ বিদ্যালয়ে থেকে ‘চুরি’ হয়ে যায় সেটি। দু’মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও পাওয়া যায়নি সেই খাতা। ঘটনাটির তদন্ত করছে কাটোয়া থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই হাজিরা খাতা ‘চুরি’র ঘটনায় স্কুলেরই এক শিক্ষিকাকে সন্দেহ করা হচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
স্কুল সূত্রে খবর, চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি স্কুল চলাকালীন স্কুলেরই প্রধান শিক্ষকের ঘর থেকে খোয়া যায় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাজিরা খাতা। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সেই খাতার হদিস মেলেনি বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে পরিচালন কমিটি স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের ঘরে সিসি টিভি ক্যামেরা না থাকায় সেই খাতা কে ‘চুরি’ করেছে তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ।
স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি শেখ মহম্মদ সুজাউদ্দিন বলেন, “উইডাউট পে হয়ে স্কুলের এক শিক্ষিকার টাকা কাটা যায়। পরবর্তী সময়ে তিনি টাকা ফেরতও পান। উক্ত শিক্ষিকাই প্রমাণ লোপাট করার উদ্দেশ্যে এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ।” তিনি আরও বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজে উক্ত শিক্ষিকার গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্মতিক্রমে তাঁর বিরুদ্ধে কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।”
যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা। তিনি বলেন, “স্কুলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy