মেমারিতে। নিজস্ব চিত্র।
সাফাইয়ের কাজ বন্ধ রেখে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন পুরসভার কর্মীরা। তার জেরে সোমবার থেকে আবর্জনা পরিষ্কার হচ্ছিল না মেমারিতে। যেখানে-সেখানে জঞ্জাল পড়ে। শহরের ছোট ভ্যাটগুলিতে আবর্জনা উপচে যায়। পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে পুর কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেন, সাফাই কর্মীদের মজুরি ১,৩০০ টাকা বাড়ানো হবে। এর পরেই আন্দোলন তোলার কথা জানিয়েছেন সাফাই কর্মীরা।
পুরসভা সূত্রে জানা যায়, সাফাই বিভাগের ২৪০ জন কর্মী সোমবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন। মঙ্গলবার পুরসভার গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। পরিজনদের নিয়ে পুরনো জিটি রোডে বসে পড়েন। যানজট হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাস্তা থেকে বিক্ষোভকারীদের তুলে দেয়। তখন তাঁরা পুরসভার ভিতরে আন্দোলন শুরু করেন। পুরপ্রধান স্বপন বিষয়ী, উপ-পুরপ্রধান সুপ্রিয় সামন্ত অন্য সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে মজুরি বৃদ্ধির দাবি কিছুটা মেনে নেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, তাঁরা মাসে ২৬ দিন কাজ করেন। দৈনিক ১৫০ টাকা মজুরি পান। মাসে মেলে ৩,৯০০ টাকা। তাঁদের বক্তব্য, “জিনিসপত্রের যা দাম তাতে ৩,৯০০ টাকায় কি দিন চলে? বারবার পুরসভাকে বলেও কাজ হয়নি। তাই কর্মবিরতি করতে বাধ্য হয়েছি।’’ তাঁরা দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবি জানান। সোমবার আশ্বাস পেলেও কাজের কাজ হবে না মনে করে মঙ্গলবারও কাজ বন্ধ রেখে ধর্নায় বসেন সাফাইকর্মীরা। ফলে, শহরের ভ্যাটগুলিতে আবর্জনা উপচে পড়ে। নর্দমাগুলি অপরিষ্কার থাকায় দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। বাসিন্দারা জানান, বছর দেড়েক আগে শহরের আবর্জনা কোথায় ফেলা হবে, এ নিয়ে দ্বন্দ্বে বেশ কিছু দিন আবর্জনা সংগ্রহ করেননি সাফাইকর্মীরা। তার জেরে কার্যত জঞ্জালের শহর হয়ে উঠেছিল মেমারি। সে আতঙ্ক ফিরে আসে অনেক শহরবাসীর মনে।
এই পরিস্থিতিতে পুরসভা মজুরি বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান। পুরপ্রধান বলেন, “সাফাইকর্মীদের প্রতি আমরা মানবিক। দাবি মেনে ওঁদের মজুরি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’ আজ, বুধবার থেকে সাফাইকর্মীরা কাজে যোগ দেবেন বলে জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy