কাঁকসার গোপালপুরের সভায় সূর্যকান্ত মিশ্র। ছবি: বিকাশ মশান।
মাঠ ভরে গিয়েছিল কানায়-কানায়। মাঠ ছাড়িয়ে মাথার সারি দেখা যাচ্ছিল আশপাশের অনেকটা এলাকা জুড়েই। বৃহস্পতিবার কাঁকসার গোপালপুরে নিজেদের সভায় এমন ভিড় দেখে তৃণমূল নেত্রীর সভায় লোক সমাগম নিয়ে কটাক্ষ করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
সূর্যবাবুর অভিযোগ, ‘‘সভায় লোক আসছে না। হেলিকপ্টার দেখারও লোক নেই। তাই খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা, হাতে টাকা গুঁজে লোক আনা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর সভায়। সেই লোকদেরই আবার বাসে করে পরের সভায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’’ পরে দুর্গাপুরের এক সভায় তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘খোঁজখবর না রেখে সূর্যবাবু এখন সব কিছুরই বিরোধিতা করছেন।’’
গোপালপুরে দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সন্তোষ দেবরায় এবং গলসির ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী নন্দলাল পণ্ডিতের সমর্থনে সভা করেন সূর্যাবাবু। তিনি দাবি করেন, ‘‘মা-মাটি-মানুষের মুখ্যমন্ত্রীর সভায় লোক হচ্ছে না দেখে তিনি চমকাচ্ছেন, ধমকাচ্ছেন। এখন আর বদল চাই বলছেন না। বলছেন বদলা চাই। পাঁচ বছরে মুখ্যমন্ত্রী ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলেন না। আমাদের চমকে লাভ নেই। আমরা গ্রেফতার হওয়ার জন্য ‘বসে আছি পথ চেয়ে ফাগুনের গান গেয়ে’। আসুন দেখি কত হিম্মত!’’ তাঁর কটাক্ষ, ‘‘কিষান মান্ডি গড়া হচ্ছে, কিন্তু চাষিদের কাজে লাগে না। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হচ্ছে, কিন্তু পরিকাঠামো, চিকিৎসক নেই। সব হচ্ছে কমিশন, তোলাবাজি, সিন্ডিকেটের স্বার্থে।’’
ভোট ঘোষণার পর থেকে তাঁদের ৯ জন কর্মী খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতৃত্বের। এ দিন সূর্যবাবু দাবি করেন, কে মারা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী নাম বলতে পারবেন না। আর যে সব খুন হয়েছে তা তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বেই। দলের কর্মীদের প্রতি সূর্যবাবুর পরামর্শ, এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের লোকজনের কাছেও যেতে হবে। তাঁদের আস্থা জোগাতে হবে, সরকার পাল্টালে কাউকে ঘর ছাড়তে হবে না। কারও গায়ে হাত পড়বে না। তবে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘সরকার বদলালে লগ্নি সংস্থার নামে প্রতারণা-সহ নানা অপরাধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে গত পাঁচ বছরে কোনও নতুন শিল্প গড়ে না ওঠা নিয়েও তোপ দাগেন সূর্যকান্তবাবু। ভোটের দিন সন্ত্রাস রুখতে কর্মীদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘কোনও ফাঁকফোকর যেন না থাকে। নিশ্ছিদ্র সংগঠন গড়তে হবে প্রতি বুথে।’’
এ দিনই সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের তিলক ময়দানে জনসভা করেন তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সী। কর্মীদের তিনি বলেন, ‘‘বহু মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, কাকে ভোট দেবেন। বহু মানুষ এখনও সিদ্ধান্ত নেননি। সবার কাছে গিয়ে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে ভোট চাইতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy