সেতুর কাজের শিলান্যাস করছেন বিজেপি বিধায়ক। নিজস্ব চিত্র
দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়কের লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দ অর্থে তৈরি হবে ফুটব্রিজ। কিন্তু সে কাজের শিলান্যাস আগেই করেছেন প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর! শুক্রবার বিধায়ক ফের সে কাজের শিলান্যাস করলেন। একই কাজের দু’বার শিলান্যাস ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
নির্বাচিত হওয়ার পরে থেকে বিধায়ক উন্নয়ন তহবিলের অর্থে দুর্গাপুরে কোনও কাজ করতে না পারার জন্য তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে বরাবর অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন লক্ষ্মণ। অবশেষে এ বছরের শুরুতে পুরসভা তাঁর প্রথম কাজ অনুমোদন করে। ১৫ জানুয়ারি নডিহায় খেলার মাঠের সংস্কার কাজের শিলান্যাস করেন লক্ষ্মণ।
শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নিবেদিতা প্লেস এলাকায় একটি বড় নালার উপর দিয়ে যাতায়াতের সুবিধার জন্য বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই ফুটব্রিজ তৈরির দাবি জানাচ্ছিলেন। বিপদের ঝুঁকি নিয়েই নর্দমার উপরে আড়াআড়ি ফেলা বিদ্যুতের খুঁটির উপর দিয়ে পারাপার করতে হয় বাসিন্দাদের। তা না হলে অনেকটা ঘুরপথে যাতায়াত করতে হয়। বিধায়ক তহবিলের ৫ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা ব্যয়ে সেখানে ফুটব্রিজ তৈরির তোড়জোড় করেন বিধায়ক। কিন্তু অভিযোগ, গত ৮ মার্চ এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা মহিলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি অসীমা চক্রবর্তী নারকেল ফাটিয়ে কাজের শিলান্যাস করে দেন। শুক্রবার ফের নারকেল ফাটিয়ে ওই একই কাজের শিলান্যাসকরেন বিধায়ক।
লক্ষ্মণের অভিযোগ, বিধায়ক তহবিলের অর্থে ফুটব্রিজ তৈরির বরাত দিয়েছে দুর্গাপুর পুরসভা। তাঁকে না জানিয়ে চুপিচুপি কাজের শিলান্যাস করার জন্য অসীমার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন লক্ষ্মণ। সংবাদমাধ্যমের একাংশের সামনে তিনি বলেন, “এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। সাংসদ, বিধায়ক, পুরসভা হাতে হাত মিলিয়ে দুর্গাপুরের উন্নয়ন করবে, এটাই সংস্কৃতি হওয়া উচিত।” তাঁর আরও দাবি, এক কোটি টাকারও বেশি কাজের প্রকল্প জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুরসভা মাত্র ১১ লক্ষ টাকার কাজের অনুমোদন দিয়েছে। তাঁর কটাক্ষ, “পাঁচ বছর কাউন্সিলর থাকা সত্ত্বেও অসীমা ফুটব্রিজের কাজ করতে পারেননি। এখন বিধায়ক কোটায় হতে চলা কাজের কৃতিত্ব নিতে চাইছেন।” যদিও, অসীমার যুক্তি: “সরকারি অর্থে মানুষের কাজ হচ্ছে। কারও ব্যক্তিগত অর্থে তা হচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দাদের ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থার আমন্ত্রণে গিয়েছিলাম। শিলান্যাসের রাজনীতি ওঁরা করেন। আমরা নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy