চলছে পরিদর্শন। নিজস্ব চিত্র
প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার দু’দিকে দাঁড়িয়ে বাস। পুরনো সেতুতে ওঠার রাস্তাও ‘গার্ড’ দিয়ে বন্ধ করা। ফলে, সোমবার সকাল থেকে দফায় দফায় যানজট দেখা যায় বাজেপ্রতাপপুরের শোলাপুকুর থেকে জেলাশাসকের বাংলো পর্যন্ত রাস্তায়। ওই রাস্তা পরিদর্শনের সময় পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন ‘অপরিকল্পিত’ ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে। বর্ধমান শহরের ওসি (ট্র্যাফিক) চিন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভর্ৎসনাও করেন।
পুলিশ সুপার বলেন, “কোথায়, কী ভাবে বাস দাঁড়াচ্ছে ঘুরে দেখলাম। অবিন্যস্ত ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও যাত্রীদের সুবিধার জন্য কোথায় কোন রুটের বাস দাঁড়াচ্ছে তার নির্দেশিকা টাঙানোর কথা বলা হয়েছে।’’
এ দিন বেলা পৌনে ২টো নাগাদ বাজেপ্রতাপুরের চারখাম্বায় পৌঁছন পুলিশ সুপার। সঙ্গে ছিলেন ডিএসপি (বর্ধমান সদর) সৌভিক পাত্র, আইসি (বর্ধমান সদর) পিন্টু রায়। সেখান থেকে হেঁটে জেলাশাসকের ভবনে সামনে পৌঁছন তিনি। পথে ট্র্যাফিক নিয়ে ক্ষোভ জানান। পুলিশ সুপার চলে যেতেই নির্দেশ কার্যকর করতে উঠেপড়ে লাগেন পুলিশের অন্য কর্তারা। তাঁদের দাবি, বারবার আলোচনা করে কী-কী করতে হবে তা ঠিক করা হয়েছে। তার পরেও সেই নির্দেশ ঠিকমতো কার্যকর হয়নি বলেই পুলিশ সুপার ক্ষুব্ধ হয়েছেন। ওসি (ট্র্যাফিক) পরে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
কী সিদ্ধান্ত হয়েছিল?
বর্ধমান থানা সূত্রে জানা যায়, কাটোয়া রুটের গাড়িগুলিকে শোলাপুকুর মসজিদের সামনে যাত্রীদের নামিয়ে চলে যাওয়া, সময়ের ১৫ মিনিট আগে পুরনো সেতুর ওঠার রাস্তা দিয়ে গিয়ে নতুন সেতুর নীচে দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলার কথা বলা হয়েছিল। সেখান থেকে কাটোয়া রোড ধরে চলে যাওয়ার কথা বাসগুলির। আর কালনা রুটের যাত্রীদের বাসে ওঠা-নামা রেলগেটের সামনেই করার কথা। কিন্তু এ দিন পুলিশ সুপার প্রায় ৪০ মিনিট এলাকা ঘুরে দেখেন, শোলাপুকুর মসজিদ থেকে একটু এগিয়ে জেলাশাসকের বাংলো পর্যন্ত দু’দিকে বাস দাঁড়িয়ে রয়েছে। উল্টো দিক দিয়ে কাটোয়াগামী খাদ্য দফতরের দু’টি গাড়ি আটকে পড়ে।
এর পরেই পুলিশ সুপার ওসি (ট্র্যাফিক)-কে বলেন, “কিছুই তো ঠিক নেই। যা ব্যবস্থা করে রেখেছেন তাতে তো জেলাশাসকের বাংলো, আমার বাংলোর সামনে যানজট হয়ে যাবে।’’ পুরনো সেতুর সংযোগকারী রাস্তা সকালের দিকে ‘গার্ড’ দিয়ে বন্ধ রাখা নিয়েও ক্ষুব্ধ হন তিনি। আইসি বলেন, “প্রথমে আলোচনা, পরে বাস মালিকদের নিয়ে কোথায় কী ভাবে বাস দাঁড়াবে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সম্মত হন। তার পরেও এই পরিস্থিতিতে পুলিশ সুপার ক্ষুব্ধ হন।’’
এ দিন দেখা যায়, কালনা রোডের দিকে শৌচাগার ও জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তার পরেও পানীয় জল ও বিশ্রামাগারের জন্যে হাপিত্যেশ করতে দেখা যায় যাত্রীদের। জেলা প্রশাসনের দাবি, ধীরে ধীরে সমস্যাগুলি
মেটানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy