Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Higher Secondary Examination

প্রশ্ন ফাঁস রুখতে এ বার বারকোড, কিউআর কোড

জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৩,৮৪০। মোট পরীক্ষাগ্রহণকেন্দ্র রয়েছে ১০৭টি। পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস রুখতে পরীক্ষাগ্রহণকেন্দ্রে ঢোকার মুখে (‘এন্ট্রিগেটে’) থাকছে কড়া ব্যবস্থা।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

অর্পিতা মজুমদার
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:২৫
Share: Save:

আগামী কাল শুরু হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিকেও পরীক্ষার সময় এগিয়ে আনা হয়েছে। পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টা ৪৫ থেকে। শেষ হবে দুপুর ১টায়। মাধ্যমিকে মোবাইল ব্যবহারের কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে জেলায়। উচ্চ মাধ্যমিকে তার পুনরাবৃত্তি রুখতে এবং প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাসংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে।

জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৩,৮৪০। মোট পরীক্ষাগ্রহণকেন্দ্র রয়েছে ১০৭টি। পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস রুখতে পরীক্ষাগ্রহণকেন্দ্রে ঢোকার মুখে (‘এন্ট্রিগেটে’) থাকছে কড়া ব্যবস্থা। দু’জন শিক্ষিক এবং দু’জন শিক্ষিকা থাকবেন, যাঁরা কড়া হাতে সব দেখার পরে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রের ভিতরে যেতে দেবেন। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার মুখে এবং ভেনু সুপারভাইজারের ঘরে সিসি ক্যামেরা থাকছে। এ ছাড়া, সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা থাকছে ‘স্ট্রং রুমে’ও। প্রতিটি প্রশ্নপত্রে ‘ইউনিক’ সিরিয়াল নম্বর থাকছে। সংসদ অফিসে বসেই কোন কেন্দ্রের কোন ঘরে প্রশ্নপত্র গিয়েছে, তা সহজেই চিহ্নিত করা যাবে। উত্তরপত্রের উপরে পরীক্ষার্থীদের সেই সিরিয়াল নম্বর লিখতে হবে। এ ছাড়া, সহজেই প্রতিটি প্রশ্নপত্র ‘ট্র্যাকিংয়ের’ জন্য সিরিয়াল নম্বর ছাড়াও ‘কিউআর কোড’ (কুইক রেসপন্স কোড) এবং ‘বারকোড’ দেওয়া থাকবে, যা খালি চোখে দেখা যাবে না। কিন্তু মোবাইলে ছবি তুললেই সেই কোড কার্যকর হয়ে যাবে এবং কোন ছাত্র বা ছাত্রী প্রশ্ন ফাঁস করেছে, তা সহজেই ধরা সম্ভব হবে বলে দাবি সংসদের। তা ছাড়া, পরীক্ষা চলাকালীন কোনও পরীক্ষার্থী মোবাইল ফোন নিয়ে ধরা পড়লে, তার সে দিনের পরীক্ষা বাতিল হবে। পরের পরীক্ষাগুলি বাতিল হবে কি না, তা সংসদের কমিটি অপরাধের গুরুত্ব বিচার করে সিদ্ধান্ত নেবে।

জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষার দিনগুলিতে সকাল সাড়ে ৬টার মধ্যে থানা থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ করবেন প্রধান পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রতিনিধি। সাড়ে ৭টার মধ্যে প্রশ্নপত্র পৌঁছতে হবে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে। সে জন্য সকাল থেকেই তৎপরতা শুরু হয়ে যাবে। অন্য দিকে, পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ৯টা ৪৫ এর আগে ঢুকতেই হবে। কারণ, ওই সময় থেকেই প্রশ্নপত্র বিলি শুরু হবে পরীক্ষাকেন্দ্রে। সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি ২০ জন পরীক্ষার্থী পিছু এক জন করে পরীক্ষক (গার্ড) থাকবেন। তবে, যদি কোনও ঘরে ২০ জন পর্যন্ত পরীক্ষার্থী থাকলে সেখানে দু’জন গার্ড থাকবেন।
পরীক্ষা হলে গার্ডের বসার জন্য একটিই চেয়ার রাখা হবে। কোনও প্রয়োজন হলে এক জনই চেয়ারে বসতে পারবেন। বাকিরা ঘুরে বেড়াবেন পরীক্ষা হলে, যাতে কড়া নজরদারি চালানো যায়।

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জেলার অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক কলিমুল হক বলেন, “এ বার পরীক্ষার সময় এগিয়েছে। তাই সকালের দিকে যে সব রাস্তায় যানবাহনের ভিড় বেশি হয়, সেখানে ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে বিশেষ নজরদারি চলবে, যাতে রাস্তায় বেরিয়ে পরীক্ষার্থীদের কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়।” পরীক্ষার্থীরা কোনও অসুবিধায় পড়লে পৌঁছে দেওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

WBCHSE
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy