প্রতীকী চিত্র।
রাস্তা আটকে বিজেপি নেত্রীর উপরে হামলার অভিযোগ উঠল দলেরই অন্য এক গোষ্ঠীর কর্মীদের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে খণ্ডঘোষের সেহেরাবাজারের রাস্তায়। পুলিশ গিয়ে শম্পা মাথুর নামে ওই বিজেপি নেত্রী ও তাঁর ছেলেকে উদ্ধার করে। পরে শম্পাদেবীর অভিযোগের ভিত্তিতে খণ্ডঘোষ থানা সাত জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতেরা দলেরই কর্মী বলে স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীরা দাবি করেছেন।
পুলিশ জানায়, স্থানীয় কেন্দুর গ্রামে রেশন বিলি নিয়ে গোলমালে অভিযুক্ত বিজেপির তিন কর্মীকে সেহেরাবাজারে ‘সার্কেল ইনস্পেক্টর’ (সিআই) দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। বুধবার ওই তিন জনের সঙ্গেই ছেলেকে নিয়ে মোটরবাইকে এসেছিলেন শম্পাদেবী। পুলিশের সঙ্গে কথা বলে ফিরে যাওয়ার সময়ে সেহেরাবাজারের রাস্তায় রাস্তা আটকে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। রাতে শম্পাদেবী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, আড়িন গ্রামের বাসিন্দা রথীন রায়ের নেতৃত্বে পাঁচ-ছ’জন তাঁর পথ আটকায়। ‘লকডাউন’ ভেঙে তারা রাস্তার উপরে জড়ো হয়েছিল। তাঁর ছেলেকে মারধর করা হয় ও ফোন কেড়ে নেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, এই অভিযোগ পেয়ে রাতে রথীন রায় ছাড়াও শঙ্করপুরের শ্রীকান্ত মালিক, গোপীনাথপুরের হরেকৃষ্ণ রায়, কৈয়ড় গ্রামের তথাগত রায়, বড় গোপীনাথপুরের প্রদ্যুৎকুমার তা, জবল গ্রামের দীপক মালিক ও বাদুলিয়ার যাদব বাগকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হলে এক দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, জানুয়ারিতে এলাকায় বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচন হয়। শম্পাদেবীকে দলের ৫ নম্বর মণ্ডল সভানেত্রী করা হয়। তার পর থেকেই এই এলাকায় বিজেপির মধ্যে ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ শুরু হয় বলে অভিযোগ। খণ্ডঘোষের বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজন ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ‘‘শম্পাদেবীকে পদে থাকা আটকাতে জানুয়ারি থেকেই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। সুযোগ পেয়ে ওই বিক্ষুব্ধেরাই দলের নেত্রীর উপরে হামলা চালিয়েছে।’’ যদিও এ নিয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হননি দলের খণ্ডঘোষ ব্লকের আহ্বায়ক অরূপ ভট্টাচার্য। তিনি শুধু বলেন, ‘‘আমাকে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy