এই সব ট্রাক্টরে বালি নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র।
বেআইনি ভাবে দামোদর নদ থেকে বালি তোলা হচ্ছে। এর ফলে এক দিকে যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, তেমনই বিপন্ন হচ্ছে দামোদরও। এই অভিযোগ নিয়ে বালি তোলা বন্ধ করতে এ বার জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সম্প্রতি বুদবুদের রণডিহা, চাকতেঁতুল এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ এ নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন জেলা প্রশাসনকে। তাঁদের দাবি, এলাকার কয়েক জন এই অবৈধ কাজে যুক্ত। একই অভিযোগ তুলেছেন শালডাঙা গ্রামের কিছু বাসিন্দাও।
বুদবুদের রণডিহা ও চাকতেঁতুল গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন, গ্রামের অদূরেই রয়েছে দামোদর। সেখান থেকে রাতের অন্ধকারে অবাধে চলছে বালি লুট। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় কোনও সরকারি বৈধ বালিঘাট নেই। অথচ, সারা রাত ধরে এলাকা থেকে বালি পাচার করা হচ্ছে। রণডিহা ফেরিঘাটের অদূরেই চলছে এই বালি তোলা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন বাসিন্দার দাবি, এলাকার কয়েক জন মিলে এই অবৈধ বালিঘাট চালাচ্ছেন। রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অবৈধ কারবার চলছে। ঘাটটি যাঁরা চালান, তাঁদেরই ট্রাক্টরে করে রাতের অন্ধকারে বালি পাচার করা হয়।
বাসিন্দাদের একাংশের আরও দাবি, সেই সব অবৈধ বালি রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় মজুত করে রাখা হয়। পরে দিনের বেলায় সেখান থেকে বালি নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে যায়। এই পুরো ঘটনায় সরকারের বহু টাকা রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, অবৈধ ভাবে বালি তোলার ফলে নদীগর্ভও শুকিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি, গ্রামের রাস্তাগুলিও নষ্ট হচ্ছে। এমনকি, এই চক্রের সঙ্গে পুলিশ-প্রশাসনও জড়িয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। সম্প্রতি এর বিহিত চেয়ে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের কাছে ডাকে চিঠি পাঠিয়ে অভিযোগ করেছেন কিছু বাসিন্দা।
এই অবৈধ বালিঘাট শুধু রণডিহা নয়, লাগোয়া শালডাঙা এলাকাতেও একই ভাবে কারবারা চালাচ্ছে বলে বাসিন্দাদের একাংশের দাবি। তাঁরা জানিয়েছেন, দামোদরের বৈধ বালিঘাট রয়েছে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের হাতে। অবৈধ বালিঘাটের এলাকাগুলি পড়ছে বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের মধ্যে। যদিও ওই ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সুমন মণ্ডলের দাবি, ‘‘এমন কোনও অভিযোগ মেলেনি। পেলে খতিয়ে দেখা হবে।’’ এসিপি (কাঁকসা) সুমনকুমার জয়সওয়ালেরও দাবি, এই অভিযোগের বিষয়ে কিছু জানা নেই। জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজির সঙ্গে মঙ্গলবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy