জামালপুরের এই রাস্তা নিয়েই অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র
বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। তারই মাঝে অনুন্নয়নের অভিযোগে গ্রামে পোস্টার পড়েছে। সমাজমাধ্যমে সরব হয়েছেন অনেকে। ঘটনাপ্রবাহে ‘অস্বস্তিতে’ জামালপুরের তৃণমূল নেতৃত্ব।
রাস্তাঘাট বেহাল হওয়ায় জামালপুর ব্লকের জাড়গ্রাম ও চকদিঘি পঞ্চায়েত এলাকার ডুমো, গুড়েঘর, বসন্তবাটী, বিষ্ণুবাটী ও মানশ্রী গ্রামে ‘ক্ষোভ’ ছড়িয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। গ্রামগুলির জনসংখ্যা কম-বেশি আট হাজার। তাঁদের দাবি, বহু আবেদন-নিবেদনের পরেও, রাস্তাঘাটের উন্নতি হওয়নি। সে কারণে তাঁরা ব্যানার টাঙাচ্ছেন এলাকা জুড়ে। কেন রাস্তা হয়নি, চাওয়া হয়েছে তার জবাবদিহি। পোস্টার পড়েছে অনেক জায়গায়। তাতে লেখা হয়েছে নানা দাবির কথাও। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চলছে প্রচার।
স্থানীয় বাসিন্দা শেখ মনতাজ আলি, উত্তম ঘোষ ও সুব্রত পালদের আক্ষেপ, ‘‘ভোট এলেই রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রার্থীরা গ্রামে আসেন। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন। ভোট মিটে গেলেই ভুলে যান। তাঁদের দেখা পাওয়া যায় না।’’ তাঁদের কথায়, ‘‘অনুন্নয়নের কারণে বছরের পর বছর দুর্দশা ভোগ করতে হয়।’’ এই কারণেই জোটবদ্ধ হয়ে তাঁরা প্রতিবাদে নেমেছেন বলে জানাচ্ছেন উত্তম ঘোষ নামে এক গ্রামবাসী।
এক ব্লক তৃণমূল নেতার কথায়, ‘‘ওই এলাকায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। দ্রুত গ্রামবাসীর দাবি মানা না হলে ভোটে তার প্রভাব পড়তে পারে। ওই সব গ্রামে বেশ কিছু আসন রয়েছে দু’টি পঞ্চায়েতের।’’
এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, গুড়েঘর চড়কতলা থেকে মহিষগড়িয়া পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। যাতায়াত করা কঠিন হয়ে গিয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্সে মুমূর্ষু রোগী নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়া যায় না। যেতে হয় ঘুর পথে। স্থানীয়দের দাবি, রাস্তা বেহাল হওয়ায় চাষিদের গুড়েঘর-মাধবপুর সমবায় সমিতি থেকে সার আনতে অসুবিধা হচ্ছে। হকাররা গ্রামে সংবাদপত্র দিতেও আসেন না।
গ্রামবাসীর একাংশের দাবি, রাস্তা পাকা করার দাবি বহুবার ব্লক প্রশাসন, বিধায়ক ও জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছিল। এমনকি, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও লিখিত আর্জি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি।
বিডিও (জামালপুর) শুভঙ্কর মজুমদার বলেন, “ওই এলাকার রাস্তা বেহাল হয়ে রয়েছে। রাস্তা সংস্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’’ জামালপুরের তৃণমূল বিধায়ক অলক মাঝি বলেন, “রাস্তার বেহাল অবস্থার কথা জেনেছি। রাস্তার সংস্কার যাতে দ্রুত শুরু হয়, সে ব্যাপারে আমি উদ্যোগী হব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy