বোমাবাজি, ভাঙচুর করা হয় এই ভবনে। —নিজস্ব চিত্র।
বাংলা জুড়ে ১২ ঘণ্টার বন্ধ ডেকেছে বিজেপি। বুধবার বন্ধের দিন বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে জেলায় জেলায়। তার মধ্যেই সিপিএমের কার্যালয়ে ভাঙচুর এবং বোমাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের ঘটনা। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসকদল।
স্থানীয় সূত্রের খবর, দুপুরে দুর্গাপুরের ডিএমসি মোড় থেকে সিটি সেন্টার বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত একটি মিছিল ছিল ডিওয়াইএফআই-র। সেই মিছিলে বিনা প্ররোচনায় হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাম নেতৃত্বের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়েন। মারধরও করা হয়। অন্য দিকে, বিজেপির ডাকা বন্ধের বিরোধিতা করে তৃণমূলের একটি মিছিল ছিল ওই রাস্তাতেই। সেখানেও দুই পক্ষের মধ্যে বিতণ্ডা শুরু হয়। তার পরেই সিপিএমের কার্যালয়ে পর পর বোমা পড়ে বলে অভিযোগ। কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি মোটর বাইক ভেঙে দেওয়া হয়। গন্ডগোলের দুই পক্ষেরই বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন বলে খবর।
সিপিএমের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আরজিকরের ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্র-যুবদের একটি প্রতিবাদ মিছিলের উপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তারা বিমল দাশগুপ্ত ট্রাস্ট নামে একটি দফতরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। বোমাবাজিতে কুড়ি থেকে ২৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন।’’ যদিও বামেদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তাদের পাল্টা আক্রমণ এবং বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ করেছে তৃণমূল। সিপিএম থেকে সদ্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন পঙ্কজ রায় সরকার। তিনি এই গন্ডগোল এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে বলেন, ‘‘আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল করছিলাম। ডিওয়াইএফআই এবং বিজেপি ‘জয়েন্ট’ মিছিল করছিল। ডিএওয়াইএফআই-র তরফে তৃণমূলের মিছিলে হামলা চালানো হয়। আমাদের কয়েক জন জবাব দিয়েছেন। তাতে অনেকে আহত হয়েছে। তৃণমূলের অন্তত ন’জন আহত হয়েছেন।’’
গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ বাহিনী। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ডিসিপি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত বলেন, ‘‘বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। গাড়িতে ভাঙচুর হয়েছে। অনেকে আহত হয়েছেন। আমরা তদন্ত করে দেখছি। মামলা হবে। দোষীদের কাউকে ছাড়া হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy