এক গাড়িচালক বলেন, ‘‘আমার গাড়িও ভাড়া করতে অস্বীকার করে। ওদের পছন্দ ছিল দ্রুত গতির কোনও গাড়ি। কিন্তু কারণ বুঝতে পারিনি।’’ —নিজস্ব চিত্র।
সকাল ৮টা। সবে যাত্রীরা ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। ঠিক তখনই গুলির শব্দে কেঁপে উঠল হুগলি-বর্ধমান সীমানা লাগোয়া জিটি রোড। এক গাড়িচালককে গুলি করে খুন করে পালান এক দল দুষ্কৃতী। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গাড়ি চুরির উদ্দেশ্য নিয়েই এই খুন। কারণ, দুষ্কৃতীরা চাইছিলেন কোনও দ্রুত গতির গাড়ি। অন্য দিকে, বোরাগড়ির এই খুনের ঘটনায় স্ট্যান্ডের অন্য গাড়িচালকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ওই স্ট্যান্ডে মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিট নাগাদ ৪ যুবক গাড়ি ভাড়া করতে আসেন। বর্ধমান স্টেশন থেকে ব্যান্ডেল যাওয়ার জন্য স্টেশন চত্বরে থাকা গাড়ি স্ট্যান্ডে খোঁজখবর করেন। সেখানে চালকদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু কারও গাড়ি নাকি ‘পছন্দ’ হয়নি। কেন, তা তদন্তসাপেক্ষ। এর পর পাশের স্ট্যান্ডে গিয়ে গাড়িচালক বিকাশ বিশ্বাস ওরফে উদয়ভানুর সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। গাড়ি পছন্দ হয়। চুক্তি হয় ব্যান্ডেল যাওয়ার জন্য ৩,৩০০ টাকা পাবেন উদয়ভানু। কিন্তু চার যুবক আসলে চাইছিল ওই গাড়িটি নিতে। এমনই জানা যাচ্ছে পুলিশ সূত্রে।
ওই গাড়ি স্ট্যান্ডের চালকরা বলছেন, চার দুষ্কৃতী নিজেদের মধ্যে হিন্দি এবং ভোজপুরি ভাষায় কথা বলছিল। শিবনাথ মিশ্র নামে এক গাড়িচালকের কথায়, ‘‘ওদের দেখেই কেমন একটা সন্দেহ হয়েছিল। তবে আমার গাড়ি তাদের পছন্দ হয়নি।’’ নূর হাসান আলি নামে আর এক গাড়িচালক বলেন, ‘‘আমার গাড়িও ভাড়া করতে অস্বীকার করে। ওদের পছন্দ ছিল দ্রুত গতির কোনও গাড়ি। কিন্তু কারণ বুঝতে পারিনি।’’
এ নিয়ে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, গুলি করে একটি গাড়িতে করে পালানোর সময় হুগলি-বর্ধমান সীমান্তে পুলিশের নাকা তল্লাশিতে ধরা পড়েন এক দুষ্কৃতী। গাড়িটিও আটক হয়। তবে বাকি পলাতকদের খোঁজে তদন্ত চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy