Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Arrest

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী আমানত প্রকল্পে জমা টাকা তোলার অভিযোগে গ্রেফতার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী

পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটির বড়বাজার শাখার সরকারি তহবিলের ২১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা স্থায়ী আমানত প্রকল্পে জমা রাখে বিশ্ববিদ্যালয়। ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল চিঠি নিয়ে এনামুল ব্যাঙ্কে এসে সেই টাকা তোলার জন্য কাগজপত্র জমা দেন।

—প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৪ ২৩:৪১
Share: Save:

একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা থেকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী আমানত প্রকল্পে জমা রাখা ২১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম শেখ এনামুল হক। বর্ধমান শহরের পুরাতনচক এলাকায় তাঁর বাড়ি। ১৯৯০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে গার্ড পদে কাজে তিনি যোগ দেন। অবসর নেন ২০১৯ সালে। সেই সময় তিনি জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে ছিলেন। শুক্রবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে পাঠানো হয়। ঘটনায় জড়িত থাকার কথা তিনি কবুল করেন বলে পুলিশের দাবি। এর পরেই রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অপর একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা থেকে তিন দফায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। সেই ঘটনাতেও ধৃত যুক্ত থাকতে পারে বলে পুলিশের অনুমান। ধৃতকে শনিবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। ঘটনার বিষয়ে বিশদে জানতে ধৃতকে ১০ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। ধৃতের ৫ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন সিজেএম চন্দা হাসমত।

পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটির বড়বাজার শাখার সরকারি তহবিলের ২১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা স্থায়ী আমানত প্রকল্পে জমা রাখে বিশ্ববিদ্যালয়। ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল চিঠি নিয়ে এনামুল ব্যাঙ্কে এসে সেই টাকা তোলার জন্য কাগজপত্র জমা দেন। জমা দেওয়া নথিপত্র দেখে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। ব্যাঙ্কের তরফে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দেন, টাকা তোলার জন্য কোনও নথিপত্র জমা দেওয়া হয়নি। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়ে দেয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি ব্যাঙ্কের সিনিয়র ম্যানেজার নেহা রানি বর্ধমান থানায় ঘটনার কথা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে জাল নথিপত্র তৈরি করে প্রতারণার ধারায় মামলা রুজু করে থানা। বর্ধমান থানার এক পুলিশ অফিসার বলেন, ‘‘ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে ঘটনায় আর কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করা হবে। অপর একটি ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে নেওয়ার বিষয়েও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy