এই সেই ই-মেল। নিজস্ব চিত্র
করোনা-পরিস্থিতির মধ্যে রানিগঞ্জ যে চিন্তা বাড়াচ্ছে, তা আগেই জানাচ্ছিলেন জেলার স্বাস্থ্য-কর্তারা। এ বার এক ধাপ এগিয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে রানিগঞ্জ পুর-এলাকায় ‘লকডাউন’ করার আবেদন জানালেন বিএমওএইচ (আলুগড়িয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র)।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের দাবি, বিএমওএইচ মনোজ শর্মা ১৪ জুলাই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে ই-মেল করে জানিয়েছেন, রানিগঞ্জ পুর-এলাকায় করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে। পাশাপাশি, আক্রান্তদের বেশির ভাগই বাইরে যাননি। ফলে, উদ্বেগ আরও বেড়েছে। সেই সঙ্গে ওই ই-মেলে আরও দাবি করা হয়েছে, ‘এখানে গোষ্ঠী-সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। ভবিষ্যতে বড় বিপর্যয় হতে পারে’। মনোজবাবু বুধবার বলেন, “রানিগঞ্জে দৈনিক সংক্রমণের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে। অথচ, প্রশাসন শত চেষ্টা করেও নাগরিকদের হুঁশ ফেরাতে পারছে না। তাই নাগরিক-সুরক্ষার কথা ভেবেই সিএমওএইচ-এর কাছে ১৫ দিন ‘লকডাউন’ ঘোষণা করার আবেদন জানিয়েছি।”
কিন্তু কেন এই আর্জি? ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, এর নেপথ্যে রয়েছে রানিগঞ্জের করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যান। গত ৯ ও ১০ জুলাই ১৭ জন করোনা আক্রান্ত হন। তার পরে ১১ জুলাই জেলা প্রশাসন পুর এলাকার কুমারবাজার ও বার্নস প্লটের মোট ২৩টি বাড়িকে কেন্দ্র করে দু’টি ‘গণ্ডিবদ্ধ এলাকা’ ঘোষণা করে। তার পরেও, ১৪ ও ১৫ জুলাই ফের দু’জন করোনা আক্রান্তের হদিস মিলেছে বলে জানান মনোজবাবু। দু’জন আক্রান্তের বয়সই পঞ্চাশোর্ধ্ব। তাঁদের কাঁকসার কোভিড-হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। রানিগঞ্জে গত ৭ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত পুর-এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ২৫ জন। এর মধ্যে বুধবার রাত পর্যন্ত এক আক্রান্ত মহিলার খোঁজ মেলেনি।
এ দিকে, বিষয়টি নিয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) দেবাশিস হালদার বলেন, ‘‘বিএমওএইচ-এর আবেদনের ভিত্তিতে প্রশাসনিক পর্যায়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।’’ জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজিও বলেন, “বিএমওএইচ-এর আবেদন বিবেচনা করা হচ্ছে। রানিগঞ্জবাসীর কাছে আর্জি, সতর্কতাবিধি মানুন। কারণ, নাগরিকেরা সচেতন না হলে শুধু লকডাউন করে সমস্যা মিটবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy