—প্রতীকী চিত্র।
প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন। সংশোধনাগারে ঢোকার ঠিক আগের দিন সঙ্গীদের নিয়ে লরি চুরির অভিযোগ উঠল এক সাজাপ্রাপ্ত বন্দির বিরুদ্ধে। ওই বন্দি-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম সমরেশ হালদার, কার্তিক দে, সুরজকুমার রজক, বিমলেশকুমার ঠাকুর এবং বিশালকুমার সিংহ।
পুলিশ সূত্রে খবর, কালনা থানার জিউধাড়া গ্রামে সমরেশের বাড়ি। কার্তিকের বাড়ি জামালপুর থানার উদয়পুরে। বাকিদের বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানার বিরুডিহা এবং পানাগড় বাজার এলাকায়।
গত ২০ অক্টোবর রাতে মেমারি-তারকেশ্বর রোডে আঝাপুর এলাকা থেকে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়ার অভিযোগে কার্তিক, সুরজ, বিমলেশ এবং বিশালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে কার্তিক এবং সুরজকে আদালতে পেশ করে ৪ দিন হেফাজতে নেয় পুলিশ। ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে লরি চুরিতে সমরেশের জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে পারে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সমরেশ ২০১৭ সালের কালনা থানার একটি খুনের মামলায় সাজা পেয়ে জেলবন্দি। বর্তমানে তিনি বর্ধমান সংশোধনাগারে রয়েছেন। চুরির ঘটনার আগে ২০ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্ত ছিলেন সমরেশ। লরি চুরির পরিকল্পনার মূলচক্রী ছিলেন তিনিই।
পুলিশ জানাচ্ছে, লরি চুরির পর দিনই বর্ধমান সংশোধনাগারে আত্মসমর্পণ করেন সমরেশ। স্বাভাবিক ভাবেই লরি চুরিতে যে তিনি জড়িত থাকতে পারেন তা পুলিশের কল্পনার বাইরে ছিল। কিন্তু ৪ সঙ্গীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে লরি চুরিতে সমরেশের জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয় পুলিশ। আদালতের অনুমতি নিয়ে বর্ধমান সংশোধনাগারে গিয়ে মোট ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন জামালপুর থানার তদন্তকারী অফিসার।
সোমবার লরি উদ্ধারের জন্য এবং ধৃতদের কাজকর্মের বিষয়ে বিশদে জানতে সমরেশ ও কার্তিককে ৭ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে পুলিশ। তবে ২ জনকে ৪ দিন পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিজেএম। বাকিদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ১৪ নভেম্বর আবার আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৭ অক্টোবর বিকেলে লরি মেরামত করে সেটি জৌগ্রামে একটি পেট্রল পাম্পের পাশে রেখে যান জামালপুর থানার জুতিহাটির বাসিন্দা সমীর সরকার। পর দিন সকালে সেখানে এসে তিনি দেখেন, লরি গায়েব! বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করার সময় তাঁর এক আত্মীয় তাঁকে জানান, ঘটনার দিন রাতে লরিটির আশপাশে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন কার্তিককে। এই কার্তিক এলাকায় পরিচিত। অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে এলাকায় তাঁর দুর্নাম রয়েছে। সমীর দ্বারস্থ হন জামালপুর থানার। এর পর তদন্তে নেমে মূল পাণ্ডা-সহ সঙ্গীদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy