Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪

বর্ষায় বাড়ি ভেসে যায় নর্দমার জলে

সম্প্রতি আনন্দবাজারের কিছু পাঠকের মুখোমুখি হয়েছিলেন পাণ্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রমা রুইদাস। এলাকাবাসীর নানা দাবি-দাওয়া, প্রাপ্তি-প্রত্যাশার কথা উঠে এল আলোচনায়। সঞ্চালনায় ছিলেন নীলোৎপল রায়চৌধুরী। রইল বাছাই প্রশ্নোত্তর।আমাদের গ্রামে হাটের কোনও ছাউনি নেই। হাটের পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে অর্ধেক ঢালাই হয়েছে। ইসিএলের বিদ্যুৎ লাইন আছে, রাজ্য সরকারের নেই। বিদ্যুৎ সঙ্কট তীব্র। দীনবন্ধু পাল কেন্দ্রা গ্রাম

নর্দমা হয়নি। কামারডাঙায় রাস্তার উপরেই জমে জল। —ওমপ্রকাশ সিংহ

নর্দমা হয়নি। কামারডাঙায় রাস্তার উপরেই জমে জল। —ওমপ্রকাশ সিংহ

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৪৪
Share: Save:

আমাদের গ্রামে হাটের কোনও ছাউনি নেই। হাটের পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে অর্ধেক ঢালাই হয়েছে। ইসিএলের বিদ্যুৎ লাইন আছে, রাজ্য সরকারের নেই। বিদ্যুৎ সঙ্কট তীব্র।

দীনবন্ধু পাল কেন্দ্রা গ্রাম

সভাপতি: এই ধরনের অভিযোগ আগে শুনিনি। আমাদের কর্মসূচিতে নেওয়া হবে।

মহালে বিধায়ক তহবিলে রাস্তা হয়েছে। কিন্তু নিকাশির অভাবে বিপর্যস্ত। ফুটবল মাঠের দেখভাল দরকার।

সজল মুখোপাধ্যায় মহাল

সভাপতি: পিইউপি-এর ৭৫ লক্ষ টাকা অনুমোদন হয়েছে। এই কাজগুলি ওই টাকায় করার জন্য ধরা আছে।

জলের পাইপলাইন আছে। তবে মাঝিপাড়ার পরে আর জল আসছে না। কারণ, সেখানে দু’টো পাইপ ভেঙে গিয়েছে বহুদিন আগে। চাপাকলের জল ব্যবহারের অযোগ্য।

উদয় সিংহ বেলডাঙা

সভাপতি: পঞ্চায়েতের সঙ্গে আলোচনা করে কাজ যাতে রূপায়িত হয় সেই চেষ্টা করব।

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, হিন্দি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিশু শিক্ষাকেন্দ্র আছে। কিন্তু রাস্তা খুব খারাপ। এর জেরে বর্ষায় পড়ুয়াদের উপস্থিতি অর্ধেকে নেমে আসে। কবরস্থান থেকে কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক যাওয়ার রাস্তার পাশে নিকাশি বেহাল। বৃষ্টিতে নর্দমার জল উপচে বাড়ি-বাড়ি ঢুকে যায়।

সুরেন্দ্রপ্রসাদ বর্মা ডিভিসি পাড়া

সভাপতি: অঙ্গনওয়াড়ি যাওয়ার রাস্তা পিইউপি-এর টাকায় করা হবে। নিকাশি নিয়েও পরিকল্পনা আছে।

মুসলিম পাড়ায় কোনও কমিউনিটি হল নেই। সামাজিক অনুষ্ঠানেও জায়গার খুব অভাব।

জাকির হোসেন মহাল

সভাপতি: পুরনো অ্যাকশন প্ল্যানে এই কাজ আর ঢোকানো যাবে না। নতুন অ্যাকশন প্ল্যানে করা হবে।

কাঁচা নর্দমা পাকা করা দরকার। গ্রামের একাধিক রাস্তা এখনও কাঁচাই রয়ে গিয়েছে।

বিশ্বরূপ মুখোপাধ্যায় জামাইপাড়া

সভাপতি: এনআরএসজে প্রকল্পের টাকায় এই কাজ করা হবে।

রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ নেই। ইসিএলের বিদ্যুৎ বছরে ছ’মাসের বেশি মেলে না। বিদ্যুৎ বিপর্যয় নিত্য ঘটনা। পড়ুয়াদের ভীষণ অসুবিধা হয়। জুনিয়র হাইস্কুলে শ্রেণিকক্ষের অভাব রয়েছে। এক ঘরে দু’টো করে ক্লাস হয়। কবরস্থানে ঘেরা প্রাচীর নেই। দান্নো, মহাল ও সোনাবাদিতে পরিস্রুত জলও মেলে না।

শেখ নুরজামাল দান্নো

সভাপতি: কবরস্থান নিয়ে চিন্তাভাবনা আছে। বিদ্যুতের লাইন দেওয়া নিয়ে ইসিএলের সঙ্গে সামান্য সমস্যা ছিল, মিটে গিয়েছে। এ বার কাজ হবে। জুনিয়র হাইস্কুল নিয়ে আমরা নিজেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব। ছোট-ছোট জলপ্রকল্প তৈরি করে সমস্যা মেটানোর পরিকল্পনা হয়েছে। টাকা অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে।

ইসিএল সিএসআর প্রকল্পে এলাকায় গাছ লাগানো ও রাস্তা সংস্কারের কথা বললেও তা করে না।

রবিন পাল পাণ্ডবেশ্বর

সভাপতি: শুক্রবার ইসিএলের সঙ্গে আমাদের বৈঠক আছে। সেখানে এ কথা জানানো হবে। সমাধানসূত্র বেরোবে বলে আশা করি।

পাণ্ডবেশ্বর থেকে খোট্টাডিহি যাওয়ার রাস্তা পরিত্যক্ত এয়ারপোর্ট থেকে বেহাল। খোট্টাডিহি জুনিয়র হাইস্কুল শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে।

স্বপন শীল খোট্টাডিহি

সভাপতি: ওই রাস্তা সব থেকে বেশি ব্যবহার করে ইসিএল। ওদের বলেই সংস্কার করানোর পরিকল্পনা আছে আমাদের। স্কুলের বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানাব।

কুয়ো আর খাদানের জল খেয়ে দিন কাটে। নিকাশিও বেহাল। বর্ষায় মাঝিপাড়া জলে ডুবে যায়।

বিশ্বজিৎ মণ্ডল শ্যামসুন্দরপুর

সভাপতি: ছোট জলপ্রকল্প তৈরি করা হবে। নিকাশির সমস্যা নিয়েও আমরা কাজ করব।

কামারডাঙা যাওয়ার প্রধান রাস্তার উপরে নির্ভরশীল পাঁচটি গ্রাম। বেহাল রাস্তাটির ন’শো ফুট সংস্কার হয়েছে, আরও বারোশো ফুট বাকি। নর্দমা তিনশো ফুট পাকা হলেও বারোশো ফুট বাকি।

মিরাজ খান কামারডাঙা

সভাপতি: পঞ্চায়েতের সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করা হবে।

অজয়ের ধারে পাণ্ডবদের শিবমন্দির আছে। এই ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে সংস্কারের উদ্যোগ হয়নি।

হারাধন গড়াই ফুলবাগান

সভাপতি: আমরা কিছু দিন আগেই সেখানে যাওয়ার পাকা রাস্তা ও একটি মঞ্চ তৈরি করেছি। বাকি কাজও করব। আপনারা এলাকা থেকে আমাদের কাছে প্রস্তাব পাঠান।

জলের জন্য একটি কুয়ো ও একটি চাপাকল ভরসা। রাস্তা কাঁচা। বর্ষায় ৫টি বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। কোনও পরিষেবায় প্রশাসনের উদ্যোগ নেই।

শেখ বান্টি হোসেনপাড়া

সভাপতি: আমাদের সব বিষয় লিখিত ভাবে জানান। পঞ্চায়েতকেও জানিয়ে রাখুন। সুরাহা হবে।

এলাকার রাস্তা এত বেহাল যে বর্ষায় মনে হয় জলপথে চলেছি।

চাঁদ খাঁ মহাল

সভাপতি: পঞ্চায়েতকে আগে জানান। প্রতিলিপি আমাদের পাঠান।

জল সঙ্কট তীব্র। চাপাকলে জল উঠছে না।

গণেশ কবিরাজ বিলপাহাড়ি

সভাপতি: জল সমস্যা মেটাতে সব রকম ব্যবস্থা হবে। তবে পরের বছর কর্মসূচিতে এ সব কাজ ধরা হবে।

এলাকার ৭টি নর্দমা ছ’বছর ধরে সাফাই হয়নি।

কেবল রুইদাস কেন্দ্রা

সভাপতি: পঞ্চায়েতকে জানাতে হবে এই বিষয়টি।

অঙ্গনওয়াড়ির ভবন নেই। একটি ক্লাবে চলে। সেখানে জল পড়ে।

জগবন্ধু ঘোষ খোট্টাডিহি

সভাপতি: জায়গা জোগাড় করুন। আমরা ভবন তৈরি করে দেব।

বৈদ্যনাথপুর চাপাকল দু’বছর ধরে খারাপ। কুয়ো সংস্কার না হওয়ায় জল ব্যবহার করা যায় না। সবুজসাথী প্রকল্পে ৪৬ জন সাইকেল পায়নি। নেই কোনও সাইকেল স্ট্যান্ডও।

জানকীরাম চক্রবর্তী বৈদ্যনাথপুর

সভাপতি: স্কুল রক্ষণাবেক্ষণ তহবিলের টাকায় কতটা করা যায় খোঁজ নেব। তার পরে বাকিটা করে দেব। সাইকেল দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা হবে।

উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই।

সঞ্জয় চক্রবর্তী গোবিন্দপুর

সভাপতি: এ কথা কেউ আগে জানাননি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাণ্ডবেশ্বর কলেজে বিজ্ঞান বিভাগ চালু হয়েছে। শ্রেণিকক্ষের অভাব। সব পডুয়া কলেজে এলে বসার জায়গা মেলে না।

তন্ময় গড়াই পাণ্ডবেশ্বর

সভাপতি: শিক্ষা দফতরকে জানিয়ে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করব।

অন্য বিষয়গুলি:

Rain
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy