প্রতীকী ছবি
এ বার মিড-ডে মিলে চালের সঙ্গে দেওয়া হবে ডাল। জুলাই থেকে মিড-ডে মিলে চাল-ডাল-আলুর সঙ্গে ‘স্যানিটাইজ়ার’-এর বোতলও মিলবে। এ ছাড়া, স্কুল খোলার পরে বিভিন্ন স্তর মিলিয়ে ৬ লক্ষেরও বেশি পড়ুয়াকে ‘মাস্ক’ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানাল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন।
জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতী বলেন, ‘‘স্কুলগুলিকে ‘স্যানিটাইজ়ার’ কেনার দরকার নেই বলে জানানো হয়েছে। জেলা থেকেই স্যানিটাইজ়ারের ৫০ মিলিলিটারের বোতল পড়ুয়ার সংখ্যা অনুযায়ী স্কুলে পৌঁছে দেওয়া হবে।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আগের মতোই পড়ুয়ার অভিভাবকদের হাতে প্যাকেট করে মিড-ডে মিলের সামগ্রী তুলে দেওয়া হবে। তাতে দু’কেজি করে চাল ও আলুর সঙ্গে ২৫০ গ্রাম ডাল থাকবে। সেই সঙ্গে দেওয়া হবে ৫০ মিলিলিটার ‘স্যানিটাইজ়ার’। এ বারও নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে, কোনও পড়ুয়ার হাতে মিড-ডে মিলের সামগ্রী দেওয়া হবে না। অভিভাবকদেরই আসতে হবে। তবে যে সব অভিভাবক পরিযায়ী শ্রমিক এবং সদ্য এলাকায় ফিরেছেন, তাঁদের স্কুলে আসার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রাখা হয়েছে বলে জানায় জেলা প্রশাসন। স্কুলগুলিকে বলা হয়েছে, ওই সব পড়ুয়ার বাড়িতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে মিড-ডে মিলের সামগ্রী পৌঁছে দিতে হবে।
পূর্ব বর্ধমানে সর্বশিক্ষা মিশন এবং মিড-ডে মিল প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা মৌলি সান্যাল বলেন, ‘‘৮ জুলাই থেকে ফের মিড-ডে মিলের সামগ্রী সরবরাহ করা শুরু হবে। এ বার তালিকায় ডাল ও স্যানিটাইজ়ার যোগ হয়েছে।’’ পূর্ব বর্ধমানে ৫,৯৫,৯২১ জনের হাতে ওই সামগ্রী তুলে দেওয়া হবে। ৫০ মিলিলিটার ‘স্যানিটাইজ়ার’-এর বোতল কী ভাবে তুলে দেওয়া হবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন অনেক প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা। তাঁরা সর্বশিক্ষা অভিযান দফতর, মিড-ডে মিল দফতর, স্কুল-শিক্ষা দফতরে অভিযোগ জানান, ৫০ মিলিলিটারের বোতল পাওয়া যাচ্ছে না। পাওয়া গেলেও সরকার নির্ধারিত ২২ টাকার চেয়ে বেশি দাম। আবার ১০০ মিলিলিটারের বোতল থেকে অর্ধেক করে পড়ুয়া বা অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়াও সমস্যার। সে জন্য তাঁরা বিকল্প ব্যবস্থার দাবি জানান।
জেলাশাসক বলেন, ‘‘আমরা জেলা থেকে স্যানিটাইজ়ার স্কুলগুলিকে সরবরাহ করব বলে ঠিক করেছি। সে জন্য এক কোটি ১৯ লক্ষ টাকার স্যানিটাইজ়ার কেনা হচ্ছে।’’ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়,, বিভিন্ন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকা প্রায় ছ’লক্ষ পড়ুয়ার হাতে দু’টি করে ‘মাস্ক’ তুলে দেওয়া হবে। সে জন্য এক কোটি ৪০ লক্ষ টাকার ‘মাস্ক’ কেনার বরাত দেওয়া হতে চলেছে। জেলাশাসক বলেন, ‘‘স্কুল খুললেই পড়ুয়াদের ‘মাস্ক’ দরকার হবে। সে জন্য সব পড়ুয়াকে কাপড়ের তৈরি উন্নতমানের ‘মাস্ক’ সরবরাহ করার কথা ভাবা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy