প্রতীকী ছবি।
গত দু’বছর করোনার জেরে সেভাবে ব্যবসা হয়নি। এ বার তাই আশা ছিল, শারদ-মরসুমে জমে উঠবে ব্যবসা। কিন্তু সপ্তমী, অষ্টমীর বৃষ্টিতে কিছুটা তাল কেটেছে। তবে নবমী ও দশমীতে ভালই ব্যবসা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন ফুচকা, আইসক্রিম, ভেলপুরি-সহ নানা খাবারের দোকানদারেরা। দুর্গাপুর, কাঁকসা-সহ নানা এলাকার এমন দোকানদারেরা জানান, বৃহস্পতিবার একাদশীর দিনেও বিভিন্ন মণ্ডপে জনসমাগম হচ্ছে। ফলে, বিক্রিও খারাপ হচ্ছে না।
জেলার নানা প্রান্তে মণ্ডপগুলির সামনে, রাস্তায় খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানদারেরা। তাঁরা জানান, চতুর্থীর দিন থেকেই জনসমাগম হয়েছে এ বার। ফলে, ঠাকুর দেখার ফাঁকে ফুচকা, ভেলপুরির কদরও ছিল ভালই। এ বার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে একটি মণ্ডপের সামনে ফুচকার স্টল নিয়ে বসেছিলেন সত্যেন্দ্র যাদব। তিনি বলেন, “করোনার জন্য গত দু’বছর এখানে স্টল দিতে পারিনি। এ বার বৃষ্টির জন্য ভয় পেয়েছিলাম। তবে মা মুখ তুলে চেয়েছেন।” তিনি জানাচ্ছেন, পুজোর দিনগুলিতে অন্য বছর প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার টাকার ফুচকা বিক্রি করেছেন। এ বছর সপ্তমী ও অষ্টমীতে বৃষ্টির জন্য মাত্র ৫০০ টাকা বিক্রি হয়। কিন্তু, বাকি দু’দিনে ক্ষতি পুষিয়ে গিয়েছে। তিনি জানান, রাত ১১টার পরে আর ফুচকা বিক্রি করতে পারেননি। সবই শেষ হয়ে গিয়েছিল।
বাজার জমে ওঠার কথা জানাচ্ছেন কাঁকসার একটি মণ্ডপের সামনে ভেলপুরির স্টল নিয়ে বসা সন্দীপ মণ্ডলও। তিনি জানান, বেশির ভাগ মণ্ডপের সামনে দোকান দিতে গেলে, পুজো কমিটিকে দিন প্রতি দু’শো টাকার মতো, কোথাও বা এক সঙ্গে চার দিনের টাকা দিতে হয়। তবে এ বার যা বিক্রি হয়েছে, তাতে তিনি খুশি। একই ভাবে হাসি ফুটেছে স্বপ্না দে, স্বাধীন মণ্ডলদের মতো খাবার বিক্রেতাদেরও। তাঁরা বলেন, “মা দুর্গা এ বার কাউকেই নিরাশ করেননি। আমরা সবাইখুব খুশি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy