বিক্ষোভে বিজেপি। —নিজস্ব চিত্র
মিনিবাস চলাচল বন্ধই। ২৪ ঘণ্টা আগে আংশিক বন্ধ রাখা হয় বড় বাস চলাচলও। শুক্রবার নিরাপত্তার অভাবে পুরোপুরি বন্ধ হল বড় বাস চলাচল। দুর্ঘটনার পরে অশান্তির জেরে আসানসোল থেকে বরাকর, কুলটি, ডিসেরগড়, চিনাকুড়ি রুটে বাস বন্ধ এই নিয়ে তৃতীয় দিনে পড়ল। প্রশাসন সূত্রে খবর, বাস চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য এ দিন বৈঠক করা হলেও মেলেনি সমাধানসূত্র।
বুধবার সকালে কুলটির লছিপুরে মিনিবাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল এক মোটরবাইক আরোহী কিশোরের। জখম হন তাঁর দুই সঙ্গী। দুর্ঘটনার পরে ক্ষতিপূরণের দাবিতে জিটি রোডে অবরোধ ও বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভাঙচুর করা হয় বাসটিতেও। মারধর ও বাস ভাঙচুরের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে পরিবহণ কর্মীরা অভিযোগ করেছিলেন। তার পরে থেকেই নিরাপত্তার অভাব, এই অভিযোগে ওই দিন থেকে রুটগুলিতে বাস বন্ধ করে দেন মিনিবাস মালিকেরা। বৃহস্পতিবার আংশিক বন্ধ থাকে বড় বাস চলাচল। শুক্রবার তা-ও পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়।
প্রশাসন জানায়, সমস্যা সমাধানে কুলটির পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে এ দিন বৈঠক করেন আসানসোল পুরসভার কমিশনার খুরশিদ আলি কাদরি। ছিলেন পুরসভার অধ্যক্ষ অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় ও অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রলয় রায়চৌধুরীও। তবে সেই বৈঠকে সমাধানসূত্র বের হয়নি বলেই খবর। আজ, শনিবার ফের বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগেই বাস চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে বলে প্রশাসনের কর্তাদের দাবি।
টানা বাস বন্ধের জেরে এই সব রুটের প্রায় ৫০ হাজার যাত্রী বিপাকে পড়েছেন বলে প্রশাসনের দাবি। নিত্যযাত্রীদের দাবি, এমন বাস বন্ধের জেরে ব্যাপক ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। গন্তব্যে পৌঁছতেও দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাস বন্ধের প্রতিবাদে নিয়ামতপুর চৌমাথায় জিটি রোডে বিকেল পাঁচটা থেকে আধ ঘণ্টা অবরোধ করে বিজেপি। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
যদিও আসানসোল মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ রায় বলেন, ‘‘নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন পরিবহণ কর্মীরা। এই অবস্থায় কিছুতেই বাস চালানো সম্ভব নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy