Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Kanksha

Power theft: ‘হুক’ করেই জ্বলছে পথবাতি

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬-য় কাঁকসার ডাকবাংলো থেকে ক্যানালপাড় রাস্তায় পথবাতি লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ ভাবেই হুক করা হয় বলে অভিযোগ। কাঁকসায়। নিজস্ব চিত্র

এ ভাবেই হুক করা হয় বলে অভিযোগ। কাঁকসায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁকসা শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২২ ০৬:১৭
Share: Save:

এলাকায় পথবাতি রয়েছে। কিন্তু তাতে কোনও বৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ নিজেদের প্রয়োজন মতো, রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের লাইন থেকে ‘হুক’ করে পথবাতিগুলিতে সংযোগ দিয়েছেন। এতে বিপদের আশঙ্কা করছেন অনেকে। এই চিত্র পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা পঞ্চায়েত এলাকার। অবিলম্বে ‘অবৈধ’ সংযোগ কেটে, পথবাতিগুলিতে বৈধ সংযোগ দেওয়ার দাবি তুলেছেন তাঁরা। প্রশাসনের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬-য় কাঁকসার ডাকবাংলো থেকে ক্যানালপাড় রাস্তায় পথবাতি লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে মতো আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এডিডিএ)-র তরফে প্রায় একশোটি পথবাতি লাগানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই রাস্তাগুলি দিয়ে রাতবিরেতে বহু মানুষ যাতায়াত করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পথবাতি বসানো হলেও, সেগুলিতে কোনও বৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি।

স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, রাস্তার পাশ দিয়ে রাজ্য সরকারের বিদ্যুতের লাইন গিয়েছে। ওই লাইন থেকে রাস্তার পাশের বাসিন্দা থেকে কিছু দোকানদার নিজেরাই ‘হুক’ করে পথবাতিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন। এ ভাবে বেশ কয়েকটি পথবাতি জ্বালিয়েছেন অনেকে। স্থানীয় বাসিন্দা অমল বিশ্বাস, পরিমল মণ্ডলরা জানান, এখন বর্ষার সময়। যে ভাবে খোলা তারে বিদ্যুতের সংযোগ নেওয়া হয়েছে, তাতে বিপদের ঝুঁকি আরও বেড়েছে। বিদ্যুতের তারগুলি যে ভাবে রাখা আছে, তাতে যে কারও হাত লেগে যেতে পারে। তখন বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে।

কেন এখনও পথবাতিগুলিতে বৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যায়নি? ‘হুকিং’ রুখতে কেনই বা রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? এডিডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত তাদের কাছে জানিয়েছিল, এলাকায় পথবাতি দরকার। সে মতো পথবাতি বসানো হয়েছে। বিদ্যুতের সংযোগের দায়িত্বে ছিল পঞ্চায়েত। এডিডিএ-র চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পঞ্চায়েতের কথা মতো আমরা পথবাতি বসিয়ে দিয়েছি। কেন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি বলতে পারব না।” কাঁকসা পঞ্চায়েতের প্রধান শুক্লা সিংহ বলেন, “বিদ্যুতের বিল দেওয়ার জন্য পঞ্চায়েতের নির্দিষ্ট কোনও তহবিল নেই। বিষয়টি ব্লক প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।” বিডিও (কাঁকসা) পর্ণা দে বলেন, “সমস্যার কথা শুনেছি। কী ভাবে তার সমাধান করা যায়, আলোচনা করা হচ্ছে।” হুকিং প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ দফতরের পানাগড় গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, বিদ্যুৎ ‘চুরি’র বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE