Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Peacock

Peacock: ময়ূরের বসত বাড়ছে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের আদুরিয়া এলাকার জঙ্গলে

জেলার ‘জঙ্গলমহল এলাকা’ বলে পরিচিত আউশগ্রাম। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই জঙ্গলে আগে বিভিন্ন জীবজন্তু দেখা যেত।

আদুরিয়ার জঙ্গল লাগোয়া চাষের ক্ষেতে ময়ূরের ঝাঁক।

আদুরিয়ার জঙ্গল লাগোয়া চাষের ক্ষেতে ময়ূরের ঝাঁক। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২২ ২১:১৭
Share: Save:

জঙ্গলের মধ্যে দেখা মিলছে দলে দলে ময়ূরের। বছর খানেকের কাছাকাছি সময় ধরে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের আদুরিয়া বিট এলাকায় ময়ূরের দল দেখা যাচ্ছে। কখনও গাছের ডালে বাচ্চাদের নিয়ে খেলে বেড়াচ্ছে ময়ূর।আবার জঙ্গলের পাশে জমিতেও ঘুরতে দেখা যাচ্ছে তাদের। ময়ূরের এই সংখ্যা বৃদ্ধি দেখে খুশি বনবিভাগ। উচ্ছসিত পরিবেশপ্রেমীরাও।

আদুরিয়া বিটের বন আধিকারিক আসরাফুল ইসলাম বলেন, ‘‘ময়ূরের এই সংখ্যা বৃদ্ধি বছরখানেক ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আদুরিয়া বিটের অধীনে বিভিন্ন গ্রামের কাছে জঙ্গলে ময়ূরের দল ছড়িয়ে রয়েছে। অনেকের চোখেই পড়ছে। এটা খুশির বিষয়।’’

জেলার ‘জঙ্গলমহল এলাকা’ বলে পরিচিত আউশগ্রাম। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই জঙ্গলে আগে বিভিন্ন জীবজন্তু দেখা যেত। কিন্তু নির্বিচারে শিকারের ফলে ধীরে ধীরে জঙ্গল থেকে হারিয়ে যায় সেই সব বন্যপ্রাণী ও পাখি। এবার ফের আদুরিয়া বিট এলাকায় ময়ূরের দল দেখা মেলা তাই তাৎপর্যপূর্ণ।

আসরাফুল বলেন, ‘‘গত দু’বছর ধরে জঙ্গলে কোনও ভাবে শিকারির দল ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া আগে জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটত। কড়া নজরদারির জন্য আগুন লাগানো বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। তাই ময়ূরের বংশবিস্তার এখন অনেক সহজ। এ ছাড়া আমাদের জঙ্গলে ময়ূরের খাবারের অভাব নেই। খাদ্য ও নিরাপত্তা দু’টোই পেলে আরও সংখ্যা বাড়বে।’’

আদুরিয়ার জঙ্গলে নেকড়ে (স্থানীয় ভাষায় হেঁড়োল), হায়না, খরগোশ, অজগর, বনমুরগি, বনবিড়াল প্রভৃতি প্রাণীরও দেখা মেলে বলে জানিয়েছেন তিনি। হেঁড়লের সংখ্যাও আগের চেয়ে বেড়েছে বলে বন দফতর সূত্রের খবর। এ ভাবে বন দফতর তৎপর হলে আউশগ্রামে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশাবাদী পরিবেশপ্রেমীরা।

অন্য বিষয়গুলি:

Peacock Bardhaman Ausgram Purba Bardhaman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE