শহরের তিন ভাগের এক ভাগ গাছে ঢাকা। অথছ দূষণও ভয়াবহ। এমনকী, নদীর জলে দূষণের মাত্রা এতটাই যে কোনও ভাবে পেটে গেলে অসুস্থ হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার দুর্গাপুরে শিল্পাঞ্চলে পরিবেশের ভারসাম্য নিয়ে একটি আলোচনাচক্রে এমনই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র। তিনি বলেন, ‘‘আগের থেকে দূষণের মাত্রা অনেকখানি নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। কিন্তু যা আছে তাও উদ্বেগজনক।’’
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছরে বেশ কিছু কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্গাপুর শহরে ভাসমান ধুলিকণার পরিমাণ কমেছে। অনেক জায়গাতেই তা ধুলিকণার গড় স্বাভাবিক মাত্রার (প্রতি ঘনমিটারে ১০০ মাইক্রোগ্রাম) কাছাকাছি। কিন্তু শিল্পতালুক লাগোয়া এলাকা বা জাতীয় সড়কের আশপাশের এলাকায় তা অনেকটাই বেশি। কল্যাণবাবুর দাবি, জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শেষ হলে পরিস্থিতিতে লাগাম টানা যাবে অনেকটা। বাতাসের সঙ্গে নদী দূষণ নিয়েও আলোচনা হয়। কল্যাণবাবু জানান, নিম্ন দামোদরের অববাহিকা অত্যন্ত উর্বর হওয়া সত্ত্বেও জলের অভাবে কাজে লাগানো যায় না। জলের ভারসাম্য বজায় রাখার কথাও বলেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘‘তামলা নালার জলের রং দেখলে বোঝা যায় কীভাবে দামোদরের জল দূষিত হচ্ছে!’’ দূষণ রোধে সার্বিক ভাবে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আর্সেনিক যুক্ত এলাকার মানুষই শুধু আর্সেনিকে ক্ষতিগ্রস্ত হন না। সেই জল দিয়ে সেচ দেওয়া ফসলেও আর্সেনিক থাকে।’’ খনি থেকে নানা ভাবে দূষণ ছড়ানোরও অভিযোগ ওঠে। ইসিএলের ডিরেক্টর (প্রজেক্ট অ্যান্ড প্ল্যানিং) একে সিংহ বলেন, ‘‘দূষণ রোধে হাজার হাজার গাছ লাগানোর কাজ চলছে।’’ রাজ্য সরকারের সংস্থা ‘দুর্গাপুর প্রজেক্টস লিমিটেড’ (ডিপিএল) এর এমডি মৃণালকান্তি মৈত্র জানান, দূষণ রোধে পর্ষদের নির্দেশিকা মেনে চলার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি সুতনু ঘোষ বলেন, ‘‘শিল্পায়ন বা উন্নয়ন করতে গিয়ে পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি করা অনুচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy