Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
police

চালকের ঘুম তাড়াতে পুলিশের চা

সম্প্রতি দেওয়ানদিঘিতে গাড়ি দুর্ঘটনায় মুর্শিদাবাদের একই পরিবারের ছ’জনের মৃত্যু হয়। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপরেও একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

রাতে চালকদের চা দিচ্ছেন পুলিশকর্মীরা।

রাতে চালকদের চা দিচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। নিজস্ব চিত্র।

সৌমেন দত্ত
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:৩৪
Share: Save:

ভোরের দিকে দু’চোখের পাতা বুজে আসে গাড়ি চালকদের। দুর্ঘটনার শঙ্কাও তখন বেড়ে যায় বহুগুণ। ওই সময়ে চালকদের জাগিয়ে রাখতে চা-জলের ব্যবস্থা করেছে বর্ধমানের জেলা পুলিশ।

সম্প্রতি দেওয়ানদিঘিতে গাড়ি দুর্ঘটনায় মুর্শিদাবাদের একই পরিবারের ছ’জনের মৃত্যু হয়। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপরেও একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ সব ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনার সময় গাড়ি চালকদের ‘চোখ বুজে’ এসেছিল বলে দাবি করেছে পুলিশ। শীত পড়েছে। এই সময় ভোরের দিকে দুর্ঘটনা বাড়ে। দুর্ঘটনা রোধে সজাগ জেলা পুলিশ।

পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, “শীতের রাতে দুর্ঘটনা তুলনায় বেশি ঘটে। অনেক চালকের চোখ লেগে যায়। ঘুম কাটাতে জেলার বিভিন্ন রাস্তায় চা-জলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’’ জানা গিয়েছে, গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত রাস্তার ধারে জলের বালতি বা বোতল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছেন পুলিশকর্মী এবং ‘সিভিক ভলান্টিয়ার’রা। গাড়ি থামিয়ে চালকের দিকে বোতল এগিয়ে দিয়ে তাঁরা বলছেন, “চোখে-মুখে ভাল করে জল দিন। একটু হেঁটে নিন। ঘুম ভাব কাটিয়ে স্টিয়ারিংয়ে হাত দিন।” পরামর্শ মানছেন চালকেরা।

মেমারির পালশিট টোল প্লাজ়ায় গাড়ি থামিয়ে চালকদের চা খাওয়ানোর দৃশ্য দেখা যাচ্ছে এখন। গত কয়েক দিন দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে, এসটিকেকে রোড, বাদশাহী রোড ও বর্ধমান-আরামবাগ রোডেও ভোরের দিকে দেখা গিয়েছে এই ছবি। রাতভর জাতীয় ও রাজ্য সড়কে পাথর ও বালি বোঝাই অসংখ্য লরি ও ডাম্পার যাতায়াত করে। আরও অনেক গাড়ি চলে। শীতের সময়ে গাড়িতে চেপে ভ্রমণ বা পিকনিক করতে যান অনেকে। রাতভর গাড়ি চালানোর ধকল সহ্য করতে পারেন না অনেক চালকই। ভোরের দিকে তাঁদের চোখে ঘুম জড়িয়ে আসে। অনেকে স্টিয়ারিং খালাসির হাতে ছেড়ে দেন। তাতেই ঘটে দুর্ঘটনা।

জেলা পুলিশের আধিকারিকদের দাবি, ‘‘জামালপুরের আঝাপুর কিংবা কেতুগ্রামে বাদশাহী রোডে ভোরের দিকে তল্লাশি চালানোর সময়ে দেখা গিয়েছে, চালক ঘুমোচ্ছেন। স্টিয়ারিং খালাসি হাতে।”

কুয়াশার কারণে অনেক সময় ভোরে দৃশ্যমানতা কমে যায়। তখন দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ে। সে কারণে প্রতিটি থানাকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার। মেমারি থানা সূত্রে জানা যায়, জাতীয় সড়কের উপরে গাড়ির গতি বেশি থাকে। রাস্তায় গাড়ির চাপও থাকে বেশি। আবার, লেন বদলের ছবিও দেখা যায়। এ সব কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। তবে, ভোরের দিকে দুর্ঘটনা মূলত ঘটে চালকের চোখে ঘুম আসার কারণে।

অন্য বিষয়গুলি:

police Tea
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy