নজর হোটেলেও। সালানপুরে। নিজস্ব চিত্র।
পর্যবেক্ষক নিয়োগের পরেই আসানসোল উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক পর্যায়ে। ইতিমধ্যেই পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বার কয়েক বৈঠকও করেছেন তিন পর্যবেক্ষক। তৈরি করা হয়েছে একাধিক নাকা পয়েন্ট-সহ নানা পরিকাঠামো। দায়িত্ব বণ্টনও করা হয়েছে।
লোকসভা উপনির্বাচনের জন্য আরও দু’জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন। শনিবার তাঁরা নিজেদের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। জামুড়িয়া ও বারাবনি বিধানসভার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে কে শ্রীনিবাসনকে। তাঁর মোবাইল নম্বর ৭৮১২০৯২৭২৩। এ ছাড়া, আসানসোল উত্তর ও দক্ষিণ, কুলটি বিধানসভার জন্য পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে, অরবিন্দ আগরওয়ালকে। তাঁর মোবাইল নম্বর ৭৮১২০৯২৭২৪। এর আগে তিন জন পর্যবেক্ষককে নিয়োগ করা হয়েছিল।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার ইভিএম বিতরণ ও জমা নেওয়া হবে, তিনটি কেন্দ্রে। সেগুলি— আসানসোল উত্তর ও দক্ষিণ, কুলটি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, জামুড়িয়া ও বারাবনি বিধানসভা এলাকার জন্য আসানসোল পলিটেকনিক কলেজে এবং রানিগঞ্জ ও পাণ্ডবেশ্বরের জন্য রানিগঞ্জের এসকেএস পাবলিক স্কুলে। তবে ভোটগ্রহণের পরে, ইভিএম যন্ত্রগুলি আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্ট্রং রুমে জমা করা হবে। ১৬ এপ্রিল ওই কলেজেই ভোট গণনা হবে।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (নির্বাচন) অভিজিৎ শেভোলে জানান, সাধারণ ও পুলিশ পর্যবেক্ষকেরা ভোট গণনাকেন্দ্র ও ইভিএম যন্ত্র বিতরণ কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছেন। ভোট নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে যাবতীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ
করা হচ্ছে।
এ দিকে, এ বারের লোকসভা উপনির্বাচনে মোট আট জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা করেছেন। তৃণমূল, কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম ছাড়াও, রয়েছেন চার নির্দল প্রার্থী। ২৮ মার্চ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। ওই দিন বিকেল ৩টের পরে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।
বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে নিরাপত্তায়। অভিজিৎ জানান, মোট ২১টি জায়গায় নাকা-চেকিং পয়েন্ট করা হয়েছে। শনিবার সকালে কয়েক ঘণ্টা আসানসোলের কালীপাহাড়িতে চলা নাকা চেকিংয়ে যোগ দেন ডিসি (সেন্ট্রাল) কুলদীপ সোনাওয়ানে। তিনি বলেন, “শহরের ঢোকা-বার হওয়ার রাস্তাগুলিতে বেশি করে নজরদারি চালানো হচ্ছে। বেশ কিছু জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।” পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৮ মার্চ শহরে কয়েক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢুকবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢোকার পরেই এলাকায় রুটমার্চ শুরু করা হবে। বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে সীমানা এলাকায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy