বোনকে খুনের পর বন্দুক উঁচিয়ে বাড়ি ছাড়েন রাহুল সোনকর (বাঁ দিকে)। মৃত বোন (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
পারিবারিক অশান্তিতে বোনকে গুলি করে খুন করে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ঘর থেকে পালিয়েছিলেন যুবক। শুক্রবার কুলটির নিয়ামতপুরের একটি যৌনপল্লি থেকে তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশ। একই সঙ্গে ভিন্ন একটি গুলি চালানোর ঘটনার অভিযুক্তদেরও গ্রেফতার করল পুলিশ। দুই মামলার তিন অভিযুক্ত ছিলেন একই বাড়িতে।
বুধবার, ১৩ অগস্ট বুধবারই আসানসোল দক্ষিণ থানার খটিকপাড়ায় গুলি চলার ঘটনা ঘটে। সেখানে বোনকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে দাদার বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম কমল সোনকর। ১৮ বছরের ওই তরুণীকে তাঁর দাদা রাহুল সোনকর গুলি করে বাড়ি ছেড়ে চলে যান বলে অভিযোগ। এর পর দিন, ১৪ সেপ্টেম্বর সালানপুরে একটি পেট্রল পাম্পে বাইকে তেল ভরাতে এসে পেট্রল পাম্পের কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পেট্রল পাম্পের এক মহিলা কর্মীকে ৫৫ টাকার তেল দিতে বলেন স্কুটিচালক। তেল ভরা শেষ হতেই স্কুটিতে থাকা এক যুবক আগ্নেয়াস্ত্র বার করে ওই মহিলা কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। নিশানা ভুল হওয়ায় প্রাণে বাঁচেন ওই মহিলা। পালিয়ে গিয়ে তিনি লুকিয়ে পড়েন। এই দুই ঘটনার তদন্তে নেমে শুক্রবার আসানসোল ও বাঁকুড়া পুলিশের দুটি দল যৌথ অভিযানে নামে।
সম্প্রতি বাঁকুড়ায় জেল থেকে বার হওয়া মহম্মদ সাদ্দামকে গুলির ঘটনার কিনারা করতে নেমে আসানসোল পেট্রল পাম্পে গুলি চালানোর ঘটনার যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছিল পুলিশ। এই অভিযানে গ্রেফতার হন আসানসোল দক্ষিণ থানার খটিকপাড়ায় বোনকে গুলি করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত রাহুল। খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটিও বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। একই সঙ্গে পেট্রল পাম্পে গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত স্কুটি এবং আগ্নেয়াস্ত্রটিও উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, পেট্রল পাম্পে গুলি চালনার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে হীরাপুর এবং নিয়ামতপুরের দুই যুবককে। হীরাপুরের বাসিন্দার নাম প্রতাপ দাস এবং নিয়ামতপুরের যুবকের নাম সোহন সিংহ ওরফে ছোটকা। পুলিশ জানতে পেরেছে, বাঁকুড়ার মহম্মদ সাদ্দামের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালনার ঘটনার সঙ্গে এঁরাই জড়িত ছিলেন। বাঁকুড়ার পুলিশ আসানসোল থেকে ধৃত প্রতাপকে বাঁকুড়া নিয়ে যায়। সালানপুর থানা এবং আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ যথাক্রমে সোহন এবং রাহুলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।
এ নিয়ে ডিসি সেন্ট্রাল কুলদীপ সোনেওয়াল এবং ডিসি পশ্চিম অভিষেক মোদী জানান, ধৃতদের শনিবার আদালতে তোলার পর হেফাজতে চাওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy