Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪

প্রতি বছর কেন ক্ষতি, প্রশ্ন জেলার নানা প্রান্তে

কুলটির ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রিয়া কলোনিতে প্রায় বুক সমান জল জমেছে। স্থানীয় বাসিন্দা শঙ্কর ভান্ডারি বলেন, ‘‘রবিবার সকাল থেকে গৃহবন্দি।’’ বাসিন্দাদের ক্ষোভ, বড় নর্দমাগুলি সাফ না হওয়াতেই ফি বছর বর্ষায় এই হাল হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৭ ১০:৪০
Share: Save:

এ বার বর্ষা শুরুর আগেভাগেই কন্ট্রোল রুম খোলা, বিপর্যয় মোকাবিলায় বৈঠক-সহ বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছিল প্রশাসন। কিন্তু তার পরেও টানা দু’দিন নাগাড়ে বৃষ্টিতেই পশ্চিম বর্ধমানে ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায়নি বলে দাবি বাসিন্দাদের। ফি বছর, বর্ষা এলেই কেন এমনটা হয়, তা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বাসিন্দারা।

কুলটির ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রিয়া কলোনিতে প্রায় বুক সমান জল জমেছে। স্থানীয় বাসিন্দা শঙ্কর ভান্ডারি বলেন, ‘‘রবিবার সকাল থেকে গৃহবন্দি।’’ বাসিন্দাদের ক্ষোভ, বড় নর্দমাগুলি সাফ না হওয়াতেই ফি বছর বর্ষায় এই হাল হয়। গত বছর বর্ষায় বাসিন্দারা বিষয়টি নিয়ে পথ-অবরোধ করলেও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।

আসানসোলের মুর্গাসোল ও এসপি মুখোপাধ্যায় রোড লাগোয়া বেশ কিছু এলাকায় বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। এখানেও প্রশ্ন উঠেছে নিকাশি নিয়েই। স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়াতেই এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।’’ যদিও আসানসোল পুরসভার দাবি, লাগামছাড়া বৃষ্টির কারণেই এই সব এলাকায় পরিস্থিতির সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

রানিগঞ্জের হুসেন নগরে অপরিকল্পিত ভাবে বেশ কিছু ছোট বস্তি তৈরি হয়েছে। তার জেরে বড় নালা তৈরির জমি পাওয়াই কঠিন বলে দাবি আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির। মোর্গাথোলে জল জমার কারণ হিসেবে আবার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দিকে আঙুল তুলেছেন কেউ কেউ। স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূল নেতা সুব্রত অধিকারীর ক্ষোভ, ‘‘জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ রাস্তার পাশে নিকাশির ব্যবস্থা করেননি। বিষয়টি নিয়ে সড়ক কর্তৃপক্ষ ও মহকুমাশাসকের কাছে দরবার করেও লাভ হয়নি।’’

দুর্গাপুরেও বাসিন্দাদের ক্ষোভ, বেহাল নিকাশি ও জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজও সমস্যা বাড়িয়েছে। দুর্গাপুর পুরসভার কমিশনার অমিতাভ দাস জানান, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে।

অন্ডালের শ্রীরামপুরে জল জমার কারণ হিসেবে বিডিও (অন্ডাল) মানস পান্ডা বলেন, “শ্রীরামপুর থেকে গোপালমঠ যাওয়ার রাস্তায় রেল সেতুর নীচের অংশটি নীচু। নিকাশিও বেহাল। কাছেই রয়েছে সিঙ্গারণ নদী।’’ তাঁর দাবি, সেতুর অংশটি উঁচু করা, রাস্তার পাশের নালা তৈরির জন্য ১৮ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে ব্লক প্রশাসন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy