কাটোয়া স্টেশনে ঢোকার মুখে বেআইনি পার্কিং। —নিজস্ব চিত্র।
সাত নম্বর প্ল্যাটফর্ম দিয়ে কাটোয়া স্টেশনে ঢোকার পথে বসানো হয়েছে চলমান সিঁড়ি। তার পাশেই রয়েছে টিকিট বুকিং কাউন্টার। সামনে প্ল্যাটফর্মে ওঠার বাঁধানো জায়গায় বড় বড় করে ‘নো পার্কিং বোর্ড’ বসিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তা সত্বেও টাকার বিনিময়ে সার দিয়ে দিনভর মোটরবাইক পার্কিং করা হচ্ছে ওই জায়গায়। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, দিনের পর দিন বেআইনি কাজ চললেও রেল কর্তৃপক্ষ উদাসীন। ওই পার্কিংয়ের জন্য স্টেশনে যাওয়া-আসা করতে খুবই অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়, দাবি তাঁদের।
কাটোয়া স্টেশনে ঢোকার দু’টি পথ রয়েছে। প্রথমত, কাটোয়া শহরের ভিতর থেকে এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম দিয়ে। দ্বিতীয়ত, কাটোয়া-বর্ধমান রাস্তা ধরে সাত নম্বর প্ল্যাটফর্ম দিয়ে। প্রচুর যাত্রী ওই পথ ব্যবহার করায় সেখানে একটি বুকিং কাউন্টারও খোলা হয়েছে। স্টেশন কর্তৃপক্ষের দাবি, হাজার হাজার যাত্রীর দাঁড়ানোর সুবিধায় সাত নম্বর প্ল্যাটফর্মের সামনের জায়গা খোলামেলা রাখা হয়েছিল। কেউ যাতে সেখানে বাইক ও গাড়ি রাখতে না পারেন, তাই লোহার ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। নো-পার্কিং জোন বোর্ডও বসানো হয়। তার পরেও স্থানীয় কয়েক জন যুবক কার্যত রেলের নির্দেশ উপেক্ষা করে বেআইনি ভাবে ওখানে কারবার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ।
বিবেকান্দপল্লীর বাসিন্দা সরোজ সাহার দাবি, “আমার কয়েকজন অতিথি সাত নম্বর প্ল্যাটফর্মে নেমে বুকিং কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে রিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এক যুবক এসে তাঁদের সরিয়ে চারটে বাইক রেখে দেয়। প্রতিবাদ করায় আমাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের ভাবা উচিত।”
স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও জানান, রেলের একাংশকে কাজে লাগিয়ে কয়েক জন বাইক পিছু ১০ টাকা নিয়ে পার্কিংয়ের কারবার চালাচ্ছে। এতে যাত্রীদের স্টেশনে যাওয়া-আসা করতে অসুবিধা হয়। কাটোয়া স্টেশন ম্যানেজার অরূপ সরকার বলেন, “ওই বিষয়টি আমাদেরও নজরে এসেছে। কারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। যাত্রীদের অসুবিধার মধ্যে ফেলে কোনও কাজকে রেয়াত করা হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy