Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

পাকা সেতু হয়নি, নড়বড়ে সাঁকো দিয়েই যাতায়াত

মন্তেশ্বর ও মেমারি ২ ব্লকের মাঝখান দিয়ে গিয়েছে এই নদী।

এই সাঁকোই ভরসা মাঝেরগ্রাম, জামনার নানা গ্রামের। নিজস্ব চিত্র

এই সাঁকোই ভরসা মাঝেরগ্রাম, জামনার নানা গ্রামের। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মন্তেশ্বর শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:০৭
Share: Save:

প্রশাসনের কাছে বারবার সেতুর দাবি জানিয়েও শিকে ছেঁড়েনি। বছর দুয়েক আগে অস্থায়ী ভাবে বাঁশের সেতু নির্মাণ করে নিয়ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রথমে হেঁটে বা সাইকেলে পারাপার হলেও এখন সেই সাঁকো দিয়ে টোটো, মোটরভ্যান চলছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। যে কোনও দিন বাঁকা নদীর উপরের ওই সেতু ভেঙে পড়ারও আশঙ্কা করছেন মন্তেশ্বরের মাঝেরগ্রাম ও জামনা পঞ্চায়েত এলাকার ওই বাসিন্দারা।

মন্তেশ্বর ও মেমারি ২ ব্লকের মাঝখান দিয়ে গিয়েছে এই নদী। এক পাড়ে রয়েছে মাঝেরগ্রাম ও জামনা পঞ্চায়েতের গাবরুপুর, আমাটিয়া, ভাণ্ডারবাটি, আশুরি, মঙ্গলপুরের মতো একাধিক গ্রাম। অন্য পাড়ে রয়েছে বোহার ১, ২, সোতলা, হরিণডাঙা, বিষ্ণুপুরের মতো গ্রাম। দু’পাড়ের বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিনের দাবি পাকা সেতুর। গাবরুপুরের বাসিন্দা রাজকুমার ঘোষ, তাপস বিশ্বাস, আমাটিয়ার সজল শেখ, ভাণ্ডারবাটির সেলিম মণ্ডলদের দাবি, বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন, মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতি, ব্লক প্রশাসন, জেলা পরিষদের মতো একাধিক জায়গায় আর্জি জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি। শেষমেশ ২০১৮ সালের ১৫ অগস্ট বাঁশ দিয়ে ১৭০ ফুট লম্বা অস্থায়ী সেতু তৈরি করেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, বর্তমানে পরপর টোটো, মোটরভ্যান যাওয়া শুরু হওয়ায় সেতু কতটা টিঁকবে তা নিয়ে চিন্তায় তাঁরা।

এলাকাবাসীর দাবি, বর্ষার কয়েকটা মাস চরম অসুবিধায় পড়তে হয় দুই এলাকার মানুষজনকে। সাতগেছিয়া হয়ে ঘুরে কালনা যেতে দ্বিগুন পথ পার হতে হয় তাঁদের। একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদেরও নদী পেরিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়।

মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রতিমা সাহার আশ্বাস, দাবিটি পঞ্চায়েত সমিতির তরফে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। সমিতির তহবিল থেকে সম্ভব না হলে জেলা পরিষদে যাতে বিষয়টি গুরুত্ব পায় সে দিকেও নজর দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

অন্য বিষয়গুলি:

Bamboo Bridge River
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy